ভারত-আমেরিকার মধ্যে ট্যারিফের ইস্যু প্রতিদিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (৭ মার্চ ২০২৫) দাবি করেছিলেন যে ভারত ট্যারিফ কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

সূত্রের মতে, এখনও ভারত-আমেরিকার মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

আমেরিকা-ভারতের আলোচনা এখনও চলছে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এই সম্মতি হয়েছিল যে এই বছরের শেষের মধ্যে BTA (দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি) চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। উভয় দেশের নিজ নিজ স্বার্থ রয়েছে। ভারত তার স্বার্থের কথা মাথায় রেখে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যারিফের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

এরই ধারাবাহিকতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সম্প্রতি আমেরিকা সফর করেছেন, যেখানে ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ট্যারিফের চূড়ান্ত রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ভারত সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশের জন্য ট্যারিফ কমিয়েছে। একই ধরনের আলোচনা যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও চলছে। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনাও একই প্রসঙ্গে দেখা হচ্ছে।

“সমগ্র বিশ্ব আমেরিকাকে ঠকিয়েছে” – ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেছেন যে ২ এপ্রিল ২০২৫ থেকে আমেরিকার উপর বেশি কর আরোপ করা সমস্ত দেশের জন্য পারস্পরিক ট্যারিফ (Reciprocal Tariff) প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্পের মতে, ট্যারিফের ফলে মার্কিন উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।

ট্রাম্প বলেন, “অর্থনৈতিক, আর্থিক ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের দেশকে প্রায় প্রতিটি দেশ সম্পূর্ণরূপে ঠকিয়েছে। কানাডা, মেক্সিকো এবং তারপর সরাসরি ভারতের কথাই বলুন। ভারত আমাদের উপর অত্যন্ত বেশি শুল্ক আরোপ করে। আপনি ভারতে কিছুই বিক্রি করতে পারবেন না, এটি প্রায় নিষেধাজ্ঞার মতো।”

তিনি আরও বলেন, “তবে, তারা (ভারত) এখন স্বীকার করছে যে তারা তাদের শুল্ক কমাতে চায়, কারণ এখন কেউ তাদের আসল চেহারা প্রকাশ করছে।”