অগ্নিবীর যোজনায় পরিবর্তন আসবে, কোন কোন বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে তা জানালেন সেনাপ্রধান

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৫-এ, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী অগ্নিবীর প্রকল্পের সাফল্য এবং এতে কী কী উন্নতি করা হচ্ছে সে সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে, তবে মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে দেখায় যে এটি একটি সফল মডেল হয়ে উঠছে।
এই প্রকল্পটিকে একটি চমৎকার উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, অগ্নিবীরদের সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং তারা তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুসারে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।
সেনাপ্রধান বলেন, অগ্নিবীর প্রকল্পকে আরও কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন স্তরে কাজ চলছে। নিয়মিত সৈনিকদের সমান ছুটির বিধান করা, অগ্নিবীরদের অন্যান্য সৈনিকদের মতো একই সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং আরও কারিগরিভাবে দক্ষ যুবকদের নিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মতো অনেক সংস্কার বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন যে, সেনাবাহিনী এই প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করার জন্য আরও কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছে, যাতে অগ্নিবীররা মূলধারার সেনাবাহিনীতে আরও ভালভাবে সংহত হতে পারে।
অগ্নিবীরদের বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করা এবং ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ সৈন্যকে সেনাবাহিনীতে স্থায়ীভাবে রাখার প্রশ্নে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন যে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া অকাল হবে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির সম্পূর্ণ মূল্যায়নের পরেই কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির যুগে অগ্নিবীরদের প্রয়োজনীয়তা এবং সক্ষমতার উপর জোর দিয়ে সেনাপ্রধান ‘সৃজনশীল ধ্বংস’ ধারণার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১০-২০ বছর ধরে একই এলাকায় কাজ করা যেকোনো সৈনিকের জন্য নতুন দক্ষতা শেখা এবং পুরনো দক্ষতা ত্যাগ করে নিজেকে আপডেট করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
একই সাথে, অগ্নিবীরদের এই ক্ষমতা বেশি কারণ তারা নতুন কৌশল গ্রহণ করতে এবং কম সময়ে দ্রুত শিখতে সক্ষম। এই কারণেই এই পরিকল্পনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।