এই ৫টি লক্ষণ দেখলে বুঝে নিন যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, স্নায়ুর ক্ষতি থেকে বাঁচতে অবিলম্বে এই উপায়গুলি গ্রহণ করুন

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হল ডায়াবেটিসের (মধুমেহ) একটি গুরুতর জটিলতা, যা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তে শর্করা থাকার কারণে স্নায়ুগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি সাধারণত পা ও হাতে প্রভাব ফেলে, যার ফলে ব্যথা, ঝিনঝিন, অবশ ভাব এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। যদি এটি সময়মতো শনাক্ত করা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে স্নায়ুর গুরুতর ক্ষতি এড়ানো সম্ভব এবং জীবনের গুণগত মান উন্নত করা যায়। আসুন জানি, মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল, ফরিদাবাদ-এর নিউরোলজি বিভাগের পরিচালক ডঃ কুনাল বহরানি কীভাবে প্রাথমিক লক্ষণ চিনবেন এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন…
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো অবহেলা করা উচিত নয়
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে বিকশিত হয় এবং প্রভাবিত স্নায়ুর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণ প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল:
- গরম, ঠান্ডা, ব্যথা বা চাপ অনুভূতি কমে যাওয়া, যার ফলে আঘাত লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- পেশির দুর্বলতা
- হাঁটতে সমস্যা হওয়া, ভারসাম্য হারানো বা পেশিতে খিঁচুনি হওয়া
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি থেকে কীভাবে বাঁচবেন
ডঃ কুনাল বহরানির মতে, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুকে পুরোপুরি সুস্থ করা কঠিন হতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা গ্রহণ করে এটি বৃদ্ধি পাওয়া রোধ করা যেতে পারে:
- রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ – রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
- সুস্থ জীবনধারা – সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা স্নায়ুর সুরক্ষায় সাহায্য করে।
- পায়ের যত্ন নেওয়া – প্রতিদিন পায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন যাতে কোনো কাটা, ক্ষত বা সংক্রমণ সময়মতো শনাক্ত করা যায়।
- ওষুধ ও থেরাপি – ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, স্নায়ু সুরক্ষাকারী ওষুধ এবং ফিজিওথেরাপি লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি থেকে বাঁচার জন্য সময়মতো শনাক্তকরণ এবং সঠিক জীবনধারা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন যাতে কোনো সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ভালো থাকে।