ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী ঘটতে চলেছে? আমেরিকা তার লোকদের দেশত্যাগে বাধা দিয়েছে, এই দুটি শহরের নামকরণ করেছে

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী ঘটতে চলেছে? আমেরিকা তার লোকদের দেশত্যাগে বাধা দিয়েছে, এই দুটি শহরের নামকরণ করেছে

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত নিয়ে আমেরিকায় তোলপাড় চলছে। আমেরিকা তার নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে। সর্বশেষ ভ্রমণ পরামর্শদাতায়, নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশগুলিকে বিশেষভাবে অনিরাপদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ এবং সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকির কারণে এই এলাকাগুলিকে ভ্রমণ করবেন না তালিকায় রাখা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, যেখানে প্রায়শই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আমেরিকাও দুটি শহরের নামকরণ করেছে।

ভ্রমণের আগে দুবার ভাবুন

আসলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার এই ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে আমেরিকান নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণের আগে পুনর্বিবেচনা করা উচিত কারণ সেখানে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার ঘটনা ক্রমাগত ঘটছে। বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় পরিস্থিতি বিশেষভাবে বিপজ্জনক।

যেকোনো সময় সংঘর্ষের পরিস্থিতি

এই পরামর্শে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছাকাছি যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে এই অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় রয়েছে এবং ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সীমান্তে একটি শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে, যা যেকোনো সময় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

ছোট পরিসরেও আক্রমণ ঘটতে থাকে

পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কিত পরামর্শে বলা হয়েছে যে, সহিংস চরমপন্থীরা সেখানে হামলার পরিকল্পনা করে চলেছে। বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বেসামরিক নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনী, সরকারি অফিস এবং ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে ছোট আকারেও আক্রমণ সংঘটিত হয়।

এছাড়াও, আমেরিকা তার নাগরিকদের ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণের আগে পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সতর্ক করেছে। উপদেষ্টায় আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি হঠাৎ করে খারাপ হতে পারে, বিশেষ করে যেসব প্রধান শহরগুলির বাইরে নিরাপত্তা দুর্বল, সেখানে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *