সেহরির জন্য উঠলেন মা, আর ফোনে কথা বলছিল ১৪ বছরের মেয়ে, গলা টিপে হত্যা করে পাশেই ঘুমিয়ে পড়লেন

সেহরির জন্য উঠলেন মা, আর ফোনে কথা বলছিল ১৪ বছরের মেয়ে, গলা টিপে হত্যা করে পাশেই ঘুমিয়ে পড়লেন

বাগপতের বিজরৌল গ্রামে ফোনে কথা বলা নিয়ে হওয়া বিরোধের জেরে মা ওয়ারিসা তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে নাজিয়াকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। এরপর ওয়ারিসা মৃতদেহের পাশেই অন্য চারপাইতে শুয়ে পড়েন। শনিবার সকালে মৃতদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়।

গ্রামের লোকজন এই হত্যার খবর পুলিশকে দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্ত মা ওয়ারিসাকে গ্রেফতার করে।

বিজরৌল গ্রামের বাসিন্দা গাইয়ুর সুলতানপুরে ফেরি করে খেলনা বিক্রির কাজ করেন। তিনি কয়েকদিন ধরে সুলতানপুরে ছিলেন। তার স্ত্রী ওয়ারিসা নয় সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে প্রায় তিনটার সময় সেহরির জন্য ওয়ারিসা তার দ্বিতীয় মেয়ে নাজিয়াকে রান্না করতে বলেন। সে সময় নাজিয়া ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলছিল।

এনিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। অভিযোগ, ওয়ারিসা গলা টিপে নাজিয়াকে হত্যা করেন। এরপর অভিযুক্ত মা ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ যাতে কিছু বুঝতে না পারে, সে জন্য তিনি গোপনে মেয়ের মৃতদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

কিন্তু গ্রামের লোকজন হত্যার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তারা পুলিশকে খবর দেন। শনিবার সকালে পুলিশ বিজরৌল গ্রামে এসে মৃতদেহের পরীক্ষা করে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়।

ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হলে রিপোর্টে গলা টিপে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত মা ওয়ারিসাকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *