ওলা, উবার, সুইগি বা জোম্যাটোর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করা গিগ কর্মীদের প্রতি বড় আবেদন জানিয়েছে সরকার। প্রকৃতপক্ষে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের প্রতি ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছে।

কী বলেছে শ্রম মন্ত্রণালয়

মন্ত্রণালয় বলেছে যে এর ফলে তাদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলবে এবং তারা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সক্ষম হবেন।

শ্রম মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন যে গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতি ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এর আওতায় ভাড়ার ট্যাক্সি পরিষেবা, পণ্য সরবরাহ, লজিস্টিক এবং পেশাদার পরিষেবার মতো খাতে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। নীতি আয়োগের অনুমান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ভারতের গিগ অর্থনীতি এক কোটিরও বেশি কর্মীকে কর্মসংস্থান দেবে। এরপর ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২.৩৫ কোটিতে পৌঁছে যাবে।

বাজেটে ঘোষণার উল্লেখ

দেশের অর্থনীতিতে গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সাধারণ বাজেট ২০২৫-২৬-এ ই-শ্রম পোর্টালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন, পরিচয়পত্র প্রদান এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেওয়াই)-এর অধীনে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাজেট সংস্থানগুলি বাস্তবায়ন করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খুব শীঘ্রই একটি পরিকল্পনা শুরু করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মন্ত্রণালয় প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের প্রতি ই-শ্রম পোর্টালে নিজেদের নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তারা দ্রুত এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।

পেনশন প্রকল্পের প্রস্তুতি

সম্প্রতি শ্রম মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দিয়েছে যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত এক কোটি গিগ কর্মীদের জন্য একটি পেনশন প্রকল্প আনার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাওয়া হবে। এই পদক্ষেপের ফলে অ্যামাজন, জোম্যাটোর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পগুলোর সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন।