পর্ন সিনেমা দেখার দিক থেকে শীর্ষে এই দেশ, জেনে নিন ভারত কোন নম্বরে

ইন্টারনেট আমাদের পৃথিবীকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এখন আমরা কেবল কয়েকটি বোতাম টিপে যেকোনো তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারি। কিন্তু এই সহজ প্রবেশাধিকারের কিছু অসুবিধাও রয়েছে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য।
ইন্টারনেট তরুণদের এমন এক জগতে নিয়ে এসেছে যেখানে তাদের রাত ক্রমশ অন্ধকার হয়ে আসছে। পর্নোগ্রাফির ক্রমবর্ধমান প্রভাব আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সামগ্রী) অ্যাক্সেস করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে। এর ফলে তরুণরা এই ফাঁদে আটকা পড়ছে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৫৩ শতাংশ যুবক এই বিষয়বস্তুর সংস্পর্শে আসে।
এটি উদ্বেগের বিষয় কারণ পর্নোগ্রাফি তরুণদের মানসিক এবং শারীরিক উভয়ভাবেই প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্ন দেখে কোন দেশ? ফিলিপাইন ২০২৩ সালে, ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্ন দেখে এমন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। পর্নহাবের প্রতিবেদন অনুসারে, এখানকার লোকেরা গড়ে ১১ মিনিট ৩১ সেকেন্ড ধরে পর্ন ভিডিও দেখে। ২০২১ সালে এখানকার নাগরিকরা জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং ইউক্রেনের জনগণের তুলনায় ইন্টারনেটে পর্ন দেখে বেশি সময় কাটিয়েছেন।
পোল্যান্ড ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে পোল্যান্ড দ্বিতীয় স্থানে ছিল। ১৯৯৮ সালে এখানে পর্নোগ্রাফি বৈধ করা হয়েছিল, কিন্তু ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের যৌন সামগ্রী দেখানো বা সরবরাহ করা এখনও অবৈধ। তাছাড়া, সহিংসতা বা ধর্ষণের দৃশ্য ধারণকারী পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র নির্মাণও অবৈধ। পর্নোগ্রাফি দেখার দিক থেকে ভারত শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে, ভারতে ক্রমবর্ধমান যৌন অপরাধের পিছনে পর্নোগ্রাফিকে একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে, অনেক সময় ১৮ বছরের কম বয়সী লোকেরা এই সামগ্রীর সংস্পর্শে আসে। এর উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে ভারত সরকার তার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পরিবর্তন এনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ ২০২৪ সালে পর্নহাব পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্ন দেখার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।
এখানকার নাগরিকরা ৩,১৭১ মিলিয়ন বার পর্নহাব সাইটটি পরিদর্শন করেছেন। এর পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (৭৬৫ মিলিয়ন), ব্রাজিল, ফ্রান্স, ফিলিপাইন, জাপান এবং কানাডা। এই তালিকায় ভারত ৯ নম্বরে আছে, যেখানে ২৮৪ মিলিয়ন মানুষ পর্নহাব সাইটটি ভিজিট করেছেন। এই ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, সমাজে এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণদের এড়াতে কঠোর নজরদারি রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।