বলিউডের ‘হিরো নম্বর-১’ হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ বহুবার বলেছেন যে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সিনেমা ‘অবতার’-এর জন্য তাকে অফার করা হয়েছিল, তবে তিনি এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি আবারও এই প্রসঙ্গ তুলেছেন এবং পুরো গল্প জানিয়েছেন যে কিভাবে তাকে এই সিনেমার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কেন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং এই প্রকল্পের জন্য তাকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছিল।

গোবিন্দের ব্যবসায়িক পরামর্শ

অভিনেতা মুকেশ খান্নাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ বলেছেন যে একবার তিনি আমেরিকায় এক শিখ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে বলেছিলেন, “আমার অনেক টাকা আছে, আমি আমেরিকায় কিছু করতে চাই, বলো কী করব?” তখন গোবিন্দ তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন খাবারদাবারের ব্যবসা শুরু করার এবং তার পণ্যের পেটেন্ট করানোর।

তিনি সেই ব্যক্তিকে একটি দোকানের নামও দিয়েছিলেন- ‘ভোলারাম সুইট ভাণ্ডার’। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “জানি না কেন, আমি ‘ভোলারাম সুইট ভাণ্ডার’ বলে চলে এলাম এবং পরে ভুলেও গিয়েছিলাম।”

পরে যখন গোবিন্দ তার সিনেমার শুটিংয়ের জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখেন সেই ব্যক্তি একটি দোকান খুলেছেন। তাকে দেখে সেই ব্যক্তি বলেছিলেন, “অরে ইয়ার গোবিন্দ, আমার তো দারুণ লাভ হচ্ছে!”

জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে সাক্ষাৎ

গোবিন্দর কথায়, সেই ব্যক্তিই তাকে পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। জেমস তখন তার সঙ্গেই ছিলেন। সেই ব্যক্তি গোবিন্দকে বলেছিলেন, “এটা আমার বন্ধু, জেমস ক্যামেরন। তুমি এর সঙ্গে সিনেমা করো।” এরপর ঠিক হয় যে ডিনারের সময় তারা আলোচনা করবেন।

ডিনারের সময় জেমস ক্যামেরন গোবিন্দকে সিনেমার গল্প শুনিয়েছিলেন।

জেমস ক্যামেরন চরিত্র সম্পর্কে বললেন, গোবিন্দ প্রত্যাখ্যান করলেন

গোবিন্দ বলেন, “জেমস ক্যামেরন যখন বললেন যে সিনেমার প্রধান চরিত্র খোঁড়াবে, আমি সঙ্গে সঙ্গে না করে দিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘ওহ হ্যালো, গোবিন্দ আর খোঁড়া? আমি কোনো সিনেমা করছি না।’”

এরপর জেমস ক্যামেরন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং বলেন, “আমি তোমাকে ১৮ কোটি টাকা দেব।” কিন্তু তবুও গোবিন্দ রাজি হননি। তিনি আরও দাবি করেন যে সিনেমার নাম ‘অবতার’ দেওয়ার আইডিয়াও তারই ছিল।

জেমস ক্যামেরন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সিনেমার শুটিং ৪১০ দিন চলবে। তবে গোবিন্দ বলেন, “আপনারা আমাকে চরিত্রে পরিণত করতে আমার পুরো শরীরে পেইন্ট করবেন। এরপর তো আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাব।”

গোবিন্দর মতে, একজন শিল্পীর কাছে তার শরীরই তার প্রধান হাতিয়ার। তিনি তার শরীর পেইন্ট করাতে চাননি এবং খোঁড়ার চরিত্রও করতে চাননি। তাই তিনি দৃঢ়ভাবে এই সিনেমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।