ভারত ও নিউজিল্যান্ডের দলগুলো দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ের জন্য লড়াই করছে। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন।

নিউজিল্যান্ড এক পরিবর্তন করে চোটগ্রস্ত পেসার ম্যাট হেনরির বদলে অলরাউন্ডার নাথান স্মিথকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে, আর ভারত কোনো পরিবর্তন ছাড়াই খেলছে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারত সিজনের একটি লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে ফেলেছে।

ভারত করল এই লজ্জাজনক রেকর্ড

আসলে, ভারতীয় দল এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সিজনে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া দল হয়ে গেছে। ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের বাজে ফিল্ডিং দেখা গেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সহ-অধিনায়ক শুভমন গিলসহ মোট চারজন খেলোয়াড় ক্যাচ ফেলেছেন। এর ফলে, পুরো টুর্নামেন্টে ভারত মোট ১১টি ক্যাচ ফেলেছে, যা কোনো দলের জন্য সর্বাধিক। এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র বাংলাদেশ (৬৬.৬%) ও পাকিস্তানের (৬০%) ক্যাচিং দক্ষতা ভারতের (৭০%) থেকে খারাপ।

চারটি ক্যাচ ফেলা হয়েছে

• সপ্তম ওভারের তৃতীয় বল: মোহাম্মদ শামি রচিন রবীন্দ্রের ক্যাচ ফেলেন।
• অষ্টম ওভারের প্রথম বল: শ্রেয়স আইয়ার ডিপ মিডউইকেটে রচিন রবীন্দ্রের ক্যাচ ফেলেন।
• ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বল: রোহিত শর্মা মিডউইকেটে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ ফেলেন।
• ৩৬তম ওভারের শেষ বল: শুভমন গিল ডিপ মিডউইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে জীবনদান দেন, যদিও এটি কঠিন ক্যাচ ছিল।

রোহিত শর্মার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই ম্যাচে টানা ১২তম টস হারার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের সমান হলেন। টানা ১২তম টস হারের মাধ্যমে রোহিত ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার রেকর্ডের সমান হয়ে গেছেন, যিনি অক্টোবর ১৯৯৮ থেকে মে ১৯৯৯-এর মধ্যে একই ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এই তালিকায় আরও একটি নাম আছে, নেদারল্যান্ডসের পিটার বোরেন, যিনি মার্চ ২০১১ থেকে আগস্ট ২০১৩-এর মধ্যে ১১টি টস হেরেছিলেন। রোহিতের টস হারার এই যাত্রা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু হয়েছিল, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।