ওরা রাতে আমাকে ওষুধ দেয়, কিন্তু সকালে আমার শরীরে ব্যথা হয়; কিশোরী নির্বাসন থেকে পালিয়ে আসা মেয়েদের প্রকাশ

বিহারের একটি কিশোর গৃহে নাবালিকা মেয়েদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে এই কিশোরী নিবাস থেকে দুটি মেয়ের পালানোর ঘটনা ঘটেছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, পুলিশ পাটনা থেকে দুই পলাতক মেয়েকে উদ্ধার করে। এখন বলা হচ্ছে যে এই মেয়েরা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
মেয়েরা অভিযোগ করে যে, কিশোরীশিশুদের হোমে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। রাতে তাকে এক ধরণের ওষুধ দেওয়া হয়, যার পরে সে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে। তাদেরকে অনেক ধরণের ভুল কাজ করতেও বাধ্য করা হয়। মেয়েরা বলে যে তারা অন্য যেকোনো কিশোর-কিশোরী কেন্দ্রে থাকতে প্রস্তুত কিন্তু সেখানে থাকবে না।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৮ই মার্চও এই কিশোরী নিবাস থেকে একটি মেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে মহিলা বিকাশ মঞ্চের সভাপতি রশ্মি কুণাল বলেন, “মেয়েরা কাঁদছে এবং বলছে যে দয়া করে আমাদের অন্য কোথাও পাঠান কিন্তু আমরা সেখানে যাব না। মেয়েরা খুব ভীত এবং নার্ভাস। তারা (মেয়েরা) বলে যে তাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করা হয়। অনেক ভুল কাজ করা হয়। বলা হয় যে তাদের রাতে ওষুধ দেওয়া হয় এবং সকালে তারা ব্যথা অনুভব করে। এখন তোমাদের উচিত ভেতরে কী আছে আর কী নেই তা তদন্ত করে দেখা। আমরা এটাই চাই, একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
এদিকে, কিশোর হোমের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা কুমারী বলেন, ‘আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম, তখন দুটি মেয়েরই বয়স ছিল ১৬-১৭ বছর।’ সে বলল যে আমাদের এখানে রাখা হয়েছিল কিন্তু আমরা সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি। সেখানে আমাদের কিছু ওষুধ দেওয়া হত এবং সকালে আমাদের পেটে ব্যথা এবং সারা শরীরে ব্যথা হতো। এমনকি খাবারও ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। সেইজন্যই আমরা এখান থেকে পালিয়ে পাটনায় চলে এসেছি।