ভারতের বিজয় উদযাপন ব্যাহত: মিছিলে পাথর ছোঁড়ার পর বিশৃঙ্খলা; পুলিশ দাঙ্গাকারীদের উপর লাঠি ছোড়ে

মধ্যপ্রদেশের মাহুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের পর বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রবিবার (৯ মার্চ) বিজয় উদযাপনের জন্য মিছিল বের করা লোকজনের উপর অন্য পক্ষ থেকে পাথর ছোঁড়া হয়।

দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লোকজন দোকানপাট এবং যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। আড়াই ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুরো ঘটনাটি ধারাবাহিকভাবে জানুন
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা লড়াইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে। ১২ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে ভারত। ভারতীয় দলের জয়ের পর, মধ্যপ্রদেশের মাহুতে (ধর) ৪০টিরও বেশি বাইকে ১০০ জনেরও বেশি লোক মিছিল বের করছিল। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জয় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে কিছু লোক জামা মসজিদের কাছে এগিয়ে গেল। অন্য পক্ষের লোকেরা পিছনে পিছনে আসা পাঁচ-ছয় জনকে থামিয়ে মারপিট শুরু করে। এর পরই হট্টগোল শুরু হয়।

পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
অপর পক্ষের লোকেরাও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ জনতা পট্টি বাজার, মার্কেট চক, জামা মসজিদ, বাটখ মহল্লা এবং ধান মান্ডির বাইরে পার্ক করা ১২টিরও বেশি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সহিংসতার খবর পাওয়ার পর, ১০টি থানার ৩০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পট্টি বাজার এবং মানক চক এলাকায় লাঠিচার্জ করে।

সংঘর্ষে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
পট্টিবাজার এলাকায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। রাত ১টার দিকে আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কালেক্টর আশীষ সিং এবং ডিআইজি নিমিষ আগরওয়াল রাত ১.৩০ মিনিটে মহোতে পৌঁছান। শহর ঘুরে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিলাম। এই বিবাদে কারও গুরুতর আহত হওয়ার খবর নেই। পুলিশ কারো বিরুদ্ধে মামলাও করেনি।

দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
কালেক্টর আশীষ সিং বলেন, “এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। তাই আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে ধৈর্য ধরে থাকার আবেদন করছি। কোনও ধরণের ভুয়া খবরে মনোযোগ দেবেন না।” সিং বলেন, এই অশান্তির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।

পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
ইন্দোর গ্রামীণ পুলিশ সুপার হিতিকা ভাসাল বলেন, উদযাপনের কারণে এলাকায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এখানে কিছু সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের জয়ের পর এই অস্থিরতা দেখা দেয়। কিছু লোক পটকা ফাটানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। মানুষের কোনও ধরণের ভুয়া খবর বিশ্বাস করা উচিত নয়। শান্তি বজায় রাখার জন্য এখানে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী রয়েছে। আমরা এলাকায় টহল দিচ্ছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *