মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ফড়নবিস বলেছেন যে সকলেই বিশ্বাস করেন যে ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে অবস্থিত আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ করা উচিত।

তবে তিনি আরও বলেন যে এটি আইনের আওতায় করা উচিত কারণ পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার স্থানটিকে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) এর সুরক্ষার অধীনে দিয়েছিল। শনিবার রাতে মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ফড়নবিশ।

মারাঠা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বংশধর এবং সাতারার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ উদয়নরাজে ভোঁসলে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলায় অবস্থিত আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। ভোঁসলের দাবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ফড়নবিস বলেন, “আমরা সকলেই একই কথা চাই, তবে আপনাকে আইনের আওতায় এটি করতে হবে কারণ এটি একটি সুরক্ষিত স্থান। কংগ্রেস শাসনামলে কয়েক বছর আগে এই স্থানটি ASI (ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ) এর সুরক্ষায় দেওয়া হয়েছিল।”

মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আসিম আজমির মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রশংসা করে করা মন্তব্য সম্প্রতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত সপ্তাহে আওরঙ্গজেবের প্রশংসা করে করা বক্তব্যের জন্য আজমিকে ২৬ মার্চ বাজেট অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে আওরঙ্গজেব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এবং তিনি নিষ্ঠুর রাজা ছিলেন না।

শুধু ভোঁসলে নন, বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ নবনীত রানাও মহারাষ্ট্র থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। মুঘল শাসকের প্রশংসা করার জন্য তিনি আবু আজমির উপর আক্রমণ করেছিলেন। আজমি দাবি করেন যে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে এবং মন্তব্য প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সমাজবাদী পার্টিকে আজমির মন্তব্যের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন এবং মুঘল শাসককে মহিমান্বিত করার জন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। আজমির সমালোচনা করে যোগী আদিত্যনাথ সমাজবাদী পার্টিকে আজমিকে উত্তরপ্রদেশে আনার জন্য অনুরোধ করেন।

মুম্বাইয়ের মানখুর্দ শিবাজি নগর আসনের বিধায়ক আজমি দাবি করেছিলেন, “আমাদের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ছিল (বিশ্ব জিডিপির) ২৪ শতাংশ এবং ভারতকে (আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে) সোনার পাখি বলা হত।”
ছিল।”

আওরঙ্গজেব এবং ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের মধ্যে লড়াই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, আজমি এটিকে রাজনৈতিক লড়াই বলে অভিহিত করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে আজমি বলেছিলেন যে তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।