আসলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের ৭তম বৈঠকে দেশে ডলফিনের সংখ্যা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
এই সমীক্ষাটি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রায় ৮,৪০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ জুড়ে পরিচালিত হয়েছে।

এই সময়ে উভয় নদীর উপনদীগুলিরও সমীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও, ব্যাস নদীর ১০১ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশেরও সমীক্ষা করা হয়েছে।

ভারতে বিদ্যমান ৬,৩২৪টি গঙ্গা ডলফিনের মধ্যে ৩,২৭৫টি ডলফিন গঙ্গা নদীর প্রধান প্রবাহে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, গঙ্গার উপনদীগুলিতে ২,৪১৪টি ডলফিন পাওয়া গেছে।

এছাড়াও, ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান প্রবাহে ৫৮৪টি ডলফিন পাওয়া গেছে। ডলফিনের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য মোট ২৮টি নদীর সমীক্ষা নৌকাযোগে পরিচালিত হয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি নদীখণ্ডের মানচিত্রায়ন সড়কপথে করা হয়েছে।

যদি রাজ্য অনুযায়ী পরিসংখ্যান দেখা হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি ডলফিন উত্তর প্রদেশে পাওয়া গেছে, যেখানে সংখ্যা ২,৩৯৭। এরপর বিহারে ২,২২০টি, ঝাড়খণ্ডে ১৬২টি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ৯৫টি, পশ্চিমবঙ্গে ৮১৫টি, আসামে ৬৩৫টি এবং পাঞ্জাবে মাত্র ৩টি ডলফিন পাওয়া গেছে।

গঙ্গায় ডলফিনের জন্য মোট ৭,১০৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই সমীক্ষার আওতায় গঙ্গার পাশাপাশি রাপ্তি, ঘাঘরা, চম্বল, যমুনা, শারদা, গেরুয়া, তোরসা, চূর্ণী, কোসি, মহানন্দা, গণ্ডক, রূপনারায়ণ এবং কালজানি নদীগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই সমস্ত নদী উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত, যেখানে ডলফিন পাওয়া গেছে। ভারতে প্রধানত দুটি প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায় – গঙ্গা ডলফিন এবং সিন্ধু ডলফিন।