ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক অপরাধী ঘোষিত আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদী প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। সোমবার ভানুয়াটুর প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাট নাগরিকত্ব কমিশনকে আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদিকে দেওয়া ভানুয়াটু পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

“আমি নাগরিকত্ব কমিশনকে অবিলম্বে মোদীর ভানুয়াতু পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি,” নাপাট এক বিবৃতিতে বলেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আমি জানতে পেরেছি যে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে সতর্কতা নোটিশ জারি করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধ ইন্টারপোল দুবার প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত বিচারিক প্রমাণ ছিল না। এই ধরণের যেকোনো সতর্কতার ফলে মোদীর নাগরিকত্বের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাখ্যান হয়ে যেত।”

এর আগে শুক্রবার, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “ললিত মোদী লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে তার পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। বিদ্যমান নিয়ম ও পদ্ধতি অনুযায়ী এটি তদন্ত করা হবে।” “আমাদের আরও জানানো হয়েছে যে তিনি ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন,” তিনি বলেন। আমরা আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলাটি পরিচালনা করছি।”

এর আগে, ললিত মোদি বলেছিলেন যে তিনি তার ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পণ করতে চান এবং তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ ভানুয়াতুর নাগরিকত্বও অর্জন করেছেন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ৮০টিরও বেশি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ভানুয়াতুর জনসংখ্যা প্রায় ৩০০,০০০।

২০০৯ সালে আইপিএলের জন্য ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রুপের সাথে ৪২৫ কোটি টাকার টিভি অধিকার চুক্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের ঘটনায় আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদী বিভিন্ন সংস্থার তদন্তের মুখে।

বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের মামলায় মুম্বাইয়ে আয়কর ও ইডি কর্মকর্তাদের সাথে মাত্র একটি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে অংশ নেওয়ার পর, তিনি ২০১০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান। ২০১০ সালের আইপিএল ফাইনালের পরপরই, মোদিকে বিসিসিআই থেকে বরখাস্ত করা হয়। পুনে এবং কোচি, দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য নিলামে অসদাচরণ, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে একটি কমিটি তাকে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পর বিসিসিআই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে।