হোলির দিনে ভগবান মানুষকে দেখাবেন ভয়ঙ্কর দৃশ্য, আকাশে ৬৫ মিনিটের জন্য মাথা তুলবেন না, না হলে শরীরের হবে এই অবস্থা

১৪ মার্চ ২০২৫ সালে হোলির দিন চাঁদ লাল রঙের দেখা যাবে। এটি ১৩ তারিখের রাত এবং ১৪ তারিখের সকালে দেখা যাবে। এই দিনেই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে।

জানিয়ে রাখি, এটি একটি বিরল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা। কারণ এবার চাঁদ রক্তের মতো লাল রঙের দেখা দেবে। বিজ্ঞানীরা একে সুপার লুনার ইভেন্ট বলছেন, কারণ এটি হবে এক সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং চাঁদের রঙ রক্তের মতো লাল হয়ে যাবে।

কখন হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ?

চন্দ্রগ্রহণ তখন ঘটে যখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশকে ঢেকে ফেলে। সহজভাবে বললে, যখন পৃথিবী চাঁদ এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদ তার কক্ষপথে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি হেলে থাকে। তাই সাধারণত পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার একটু ওপরে বা একটু নিচে থাকে। তবে বছরে দুইবার এমন হয় যখন চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে একই অনুভূমিক রেখায় চলে আসে, তখনই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে।

যখন চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়, তখন সে আর সূর্যের আলো গ্রহণ করতে পারে না এবং সম্পূর্ণ অন্ধকারে হারিয়ে যায়। তবে চাঁদ কখনো সম্পূর্ণভাবে কালো হয় না, বরং লাল রঙের হয়ে যায়। এই কারণেই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণকে রক্তচন্দ্র (ব্লাড মুন) বলা হয়।

কেন চাঁদ লাল হয়ে যায়?

সূর্যের আলোতে বিভিন্ন রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্যাসগুলোর কারণে সাধারণত আকাশ নীল দেখায়। তবে, লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য সহজে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে যেতে পারে। এই ঘটনাকে রেলি স্ক্যাটারিং (Rayleigh Scattering) বলে।

চন্দ্রগ্রহণের সময় লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদের ওপর পড়ে, যেখানে নীল রঙ ফিল্টার হয়ে যায়। এই কারণে চাঁদ লাল দেখায়।

যদি কেউ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে চান, তবে তাকে পৃথিবীর সেই অংশে থাকতে হবে, যেখানে তখন রাত থাকবে। এবারের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যরেখা, আমেরিকা, আফ্রিকা, কানাডার দক্ষিণ অংশ ও গ্রিনল্যান্ডে দেখা যাবে।

কী হলো সুপারমুন?

প্রথমে বোঝা দরকার সুপারমুন কী? যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে, তখন তার আকার সাধারণের তুলনায় ১২% বেশি বড় দেখায়।

সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৪০৬,৩০০ কিলোমিটার হয়। কিন্তু যখন এটি কমে ৩৫৬,৭০০ কিলোমিটার হয়, তখন চাঁদকে বড় দেখায়। একেই সুপারমুন বলা হয়।

চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার (elliptical) কক্ষপথে ঘোরে, গোলাকার নয়। তাই কিছু সময় এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসে এবং তখন তার উজ্জ্বলতা আরও বেড়ে যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *