আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর, ভারতীয় ক্রিকেট দল আগামী দুই মাসে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ১৮তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মৌসুম ২২ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে।

মেগা নিলামের পর একটি নতুন চক্র শুরু হচ্ছে, যেখানে অনেক শীর্ষ তারকা নতুন দলের হয়ে খেলবেন এবং বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি নতুন অধিনায়কের সঙ্গে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে।

ভারতীয় দলের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, যা ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা করবে। ভারতের লক্ষ্য হবে চতুর্থ আসরের ফাইনালে পৌঁছানো, কারণ এবার দল ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল। ভারত ১৮ বছর পর পাতৌদি ট্রফি জিততেও চাইবে, কারণ ২০২১-২২ সালে তারা খুব সামান্য ব্যবধানে এটি হারিয়েছিল। এই সিরিজটি লাল বলের ক্রিকেটে দেশের জন্য নতুন সূচনা আনতে পারে, কারণ ২০২৪-২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে নতুন অধিনায়ক দায়িত্ব নিতে পারেন।

সাদা বলের ক্রিকেটে ফোকাস টি২০আই ফরম্যাটে স্থানান্তরিত হবে, কারণ ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপ হলো পরবর্তী আইসিসি টুর্নামেন্ট। ভারতের লক্ষ্য হবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে শিরোপা ধরে রাখা। এই প্রতিযোগিতার সহ-আয়োজক হবে শ্রীলঙ্কা। আগামী ১২ মাসে ভারত ৯টি টেস্ট এবং ১২টি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ ছাড়াও ১৮টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পেয়েছে।

ভারতের সূচি

• ভারতীয় দল ইংল্যান্ড সফরে ২১ জুন থেকে ৪ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে।
• আগস্টেই ভারত বাংলাদেশ সফরে গিয়ে ৩টি ওডিআই ও ৩টি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলবে।
• সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ এশিয়া কাপের আয়োজন হবে।
• ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল অক্টোবর মাসে ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ভারতের সফরে আসবে।
• এরপর, অক্টোবর-নভেম্বর ২০২৫-এ ভারত অস্ট্রেলিয়া সফর করবে, যেখানে ৩টি ওডিআই ও ৫টি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলা হবে।
• দক্ষিণ আফ্রিকার দল নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২৫-এ ভারত সফরে এসে ২টি টেস্ট, ৩টি ওডিআই ও ৫টি টি২০ ম্যাচ খেলবে।
• নতুন বছরে, জানুয়ারি ২০২৬-এ নিউজিল্যান্ডের দল ৩টি ওডিআই ও ৫টি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে।
• ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০২৬-এ টি২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করা হবে।