বিহারে কার সঙ্গে মিলিত হয়ে লড়বেন প্রশান্ত কিশোর? নিজেই দিলেন উত্তর, বললেন – শুধু নীতীশ কুমারই নন, সবাই ‘পলটুরাম’

নির্বাচনী কৌশলবিদ থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোর বিহারে তাঁর রাজনৈতিক ভিত্তি খুঁজছেন। এক বছর ধরে বিহারের পঞ্চায়েতগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর জন সুরাজ গত উপনির্বাচনে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়।

এখন তিনি বিধানসভা নির্বাচনের কৌশলগত প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে, সম্প্রতি দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জোট নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

পুরনো ভুলের কথা স্মরণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

জোট নিয়ে মন্তব্য করার আগে প্রশান্ত কিশোর তাঁর অতীতের এক ভুলের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি নীতীশ কুমারের নির্ভেজাল ভাবমূর্তির কারণে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এই ভাবমূর্তির কারণে তিনি নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধরে রাখার জন্য আরজেডির (রাজদ) সঙ্গে জোট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে সেটিই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল।

নীতীশ ও তেজস্বীর বিরুদ্ধে তোপ

এই সময়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ২০১৪ সালে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহার উন্নতির পথে ছিল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য তিনি ২০১৫ সালে রাজনীতিতে এক নতুন ধারা শুরু করেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তিনি নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন, যার কারণে আমি নিজেকে তাঁর থেকে আলাদা করে নিই।

শুধু নীতীশ নন, সবাই ‘পলটুরাম’: পিকে

প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। শুধু নীতীশ কুমারই নন, বরং তেজস্বী যাদব ও বিজেপির নেতারাও ক্ষমতায় থাকার জন্য যেকোনো রকমের সমঝোতা করতে প্রস্তুত। এখন এরা সবাই ‘পলটুরাম’ হয়ে গেছে। বিহারকে এদের হাত থেকে মুক্ত করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত ২৪৩টি আসনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জন সুরাজ পার্টি এবং কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে না।

লালুর বিরুদ্ধে পাটনায় পোস্টার

অন্যদিকে, বিহারের রাজধানী পাটনার রাস্তায় লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এসব পোস্টারে লালুকে ‘চারা চোর’ বলা হয়েছে। রাজধানী পাটনার বিভিন্ন মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব পোস্টার লাগিয়ে আরজেডি সুপ্রিমো ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

এই পোস্টারে বলা হয়েছে, ১০ মার্চ ১৯৯০ সালে লালু প্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন এবং সেই দিনই তিনি চারা চুরির সংকল্প নিয়েছিলেন। পোস্টারে ওই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ বলা হয়েছে এবং লেখা হয়েছে – ‘তেল পিলাও, লাঠি চালাও’ রাজ শুরু হয়েছে।

এছাড়াও, পোস্টারে বিভিন্ন স্লোগান লিখে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘যখন লালু গরু চরানোর শপথ নিয়েছিলেন, তখন তিনি বিহারের জনগণের সর্বনাশেরও শপথ নিয়েছিলেন। বিহার এটি ভুলবে না।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *