গ্যাংস্টার অমন সাহুকে ছত্তিশগড় থেকে ঝাড়খণ্ড আনার সময় পুলিশের এনকাউন্টারে মারা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের মতে, অমন পালানোর সময় এক এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) জওয়ানের কাছ থেকে ইনসাস রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালিয়েছিল, যাতে ওই জওয়ান আহত হন।

জানা যাচ্ছে, পুলিশের পাল্টা অভিযানে অমন সাহুকে গুলি করে মারা হয়। আহত জওয়ানকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এনকাউন্টারের ঘটনাটি মঙ্গলবার সকালে পালামুর চৈনপুরের অন্ধারি ঢোডা এলাকায় ঘটেছে।

জানা যাচ্ছে, রাঁচি পুলিশের একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অমন সাহুকে রায়পুর থেকে রাঁচি নিয়ে আসছিল। তখন পুলিশি গাড়িটি পালামুর চৈনপুর এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর সেখানে গুলির লড়াই শুরু হয় এবং অমন সাহুকে হত্যা করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনা আজ সকাল ৯:১৫ মিনিটে ঘটেছে। জানা গেছে, যে গাড়িতে অমন ছিল, সেটার ওপর প্রথমে একটি বোমা ছোড়া হয়েছিল। এই সুযোগে সে অস্ত্র লুট করে পালানোর চেষ্টা করছিল, তখনই পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।

অপরাধ জগতে কীভাবে সক্রিয় হলো অমন সাহু?
অমন সাহু বড়কাগাঁও থেকে বিধানসভা নির্বাচন লড়তে চেয়েছিল, কিন্তু একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাকে নির্বাচন লড়তে দেওয়া হয়নি। রামগড়ের ভুরকুন্ডা ও পত্রাতু এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের ছিল। জানা যায়, ২০১৩ সালে অমন সাহু পত্রাতুর বার্নপুর সিমেন্ট প্ল্যান্টে গুলি চালিয়েছিল, এরপর পুলিশ তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করেছিল। সে সময় অমন নাবালক থাকায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে সে পত্রাতুতে একটি মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকান খুলেছিল।

কিন্তু পরবর্তীতে অপরাধী সুরজ সিংয়ের সংস্পর্শে এসে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। জানা গেছে, অমন সাহুর টি.এস.পি.সি. এবং জে.জে.এম.পি. নামক উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। পাশাপাশি, পত্রাতুর পান্ডে গ্যাংয়ের সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল।

বিধানসভায় উত্তপ্ত হলো রাজনৈতিক পরিস্থিতি
এই ঘটনার পর ঝাড়খণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। মন্ত্রী সুদিব্য কুমার বলেছেন, যারা আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অমিত যাদব এনকাউন্টারের প্রশংসা করে বলেছেন, হেমন্ত সরকার এখন অ্যাকশনে নেমেছে।

এর আগে, সোমবার বিধানসভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক সি.পি. সিং ঝাড়খণ্ড পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন।