জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরকার্যवाह দত্তাত্রেয় হোসবোলে “বিমর্শ ভারত” নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেন যে, দেশের নাম যখন ভারত, তখন ভারতই লিখতে হবে। ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত কেন লেখা হয় না?

তিনি বলেন, দেশকে দুটি নামে কেন ডাকা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পরিবর্তে “ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক” লিখতে হবে, “কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া”র পরিবর্তে “ভারতের সংবিধান” লেখা উচিত।

সংঘ নেতা বলেন, সাম্প্রতিককালে জি২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভোজের নিমন্ত্রণপত্র এবং ২৬ জানুয়ারির নিমন্ত্রণপত্রে “রিপাবলিক অফ ভারত” লেখা হয়েছিল। ভারতের নাম ইন্ডিয়া বলা উচিত নয়। ইংরেজিতে সেটি ইন্ডিয়া হতে পারে, কিন্তু ভারতীয়দের জন্য সেটি ভারতই। এমন পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য কোথাও নেই।

হোসবোলে বলেন, এখন এটি আর চলবে না। এটি সংশোধন করতে হবে। ভারত হলে ভারতই বলা উচিত। তিনি বলেন, ভারত বিশ্ব কল্যাণের জন্য বেঁচে আছে, অন্য দেশগুলিকে পদদলিত বা দাদাগিরি করার জন্য নয়।

তিনি আরও বলেন, মোগল যুগে মানুষের মনে ধারণা ছিল যে, মোগলরা তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, চিন্তাধারায় আমাদের চেয়ে উচ্চতর নয়। কিন্তু ব্রিটিশ যুগে ভারতীয়দের মনে হতে শুরু করেছিল যে, ব্রিটিশরা তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আজও সেই ভাবনা রয়ে গেছে, আর সেই কারণেই সমাজে ইংরেজিয়ত এখনও বিদ্যমান।