মিথ্যা বলার জন্য শেখ হাসিনার মানহানি, বাংলাদেশের আসল সমস্যা এখন জানা গেছে

মিথ্যা বলার জন্য শেখ হাসিনার মানহানি, বাংলাদেশের আসল সমস্যা এখন জানা গেছে

শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও খারাপ হয়েছে। দেশে সহিংসতা এবং লুটপাট চরমে। এর পাশাপাশি, দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের খারাপ ছায়াও রয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হাসিনার সরকারের অধীনে দেশে বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি বেড়েছে। এখন হাসিনাও চলে গেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

বাংলাদেশে অস্থিরতার আসল কারণ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশ পুলিশের নৃশংস চেহারা দেখা গেছে। এই বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত হন। ইউনূস সরকার আসার পরও বাংলাদেশ পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখন ইউনূস সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার পরে পুলিশের একটি নতুন রূপের আবির্ভাব ঘটবে।

বাংলাদেশের নতুন পুলিশ বাহিনী

সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের হার বৃদ্ধির মধ্যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ‘সহায়ক পুলিশ বাহিনীর’ অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল এবং বাজারে শত শত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে। এই পুলিশ সাধারণ পুলিশের থেকে আলাদা হবে এবং জনসাধারণের স্থানে মোতায়েন করা হবে।

প্রাথমিকভাবে, ডিএমপি এই বাহিনীর জন্য ৫০০ জন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেছে এবং এর কাজ এবং প্রভাবের উপর নির্ভর করে, ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। আশা করা হচ্ছে যে এই নতুন বাহিনী বাংলাদেশের অস্থিরতা বন্ধে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ পুলিশের ত্রুটি-বিচ্যুতি

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ পুলিশে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজ চুরি করার অভ্যাস রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে, এমন একটি বাহিনীর প্রয়োজন ছিল যা বড় শহরগুলিতে জনসাধারণকে রক্ষা করতে পারে। এখন দেখার বিষয় হলো ইউনূস সরকারের এই উদ্যোগ সফল হয় কিনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *