মরিশাসও বাড়াল ভারতের গৌরব, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দিল দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মরিশাস সরকার তাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘দ্য গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশান’ প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সম্মান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ব্যক্তি হয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কোনো দেশ কর্তৃক প্রদত্ত ২১তম আন্তর্জাতিক সম্মান।
সম্মান নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?
এই সম্মান গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আমি এটি বিনম্রতার সঙ্গে গ্রহণ করছি। এই সম্মান ভারত ও মরিশাসের গভীর সম্পর্কের স্বীকৃতি। এটি সেই সমস্ত ভারতীয়দেরও সম্মান, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পবিত্র ভূমির সেবা করেছেন এবং একে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি মরিশাসের জনগণ এবং সরকারের প্রতি অন্তরের গভীরতা থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী স্মরণ করিয়ে দেন যে, ঠিক ১০ বছর আগে এই দিনেই তিনি মরিশাস এসেছিলেন। তিনি বলেন, “তখন ভারতে হোলি উৎসব সপ্তাহখানেক আগে হয়ে গিয়েছিল, আর আমি সঙ্গে করে গেরুয়ার আনন্দ নিয়ে এসেছিলাম। এবার হোলির রঙ নিয়ে ফিরে যাব।”
হোলির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বললেন,
“রামের হাতে ঢোলক শোভে, লক্ষ্মণের হাতে মঞ্জিরা,
ভরতের হাতে সোনার পিচকারি, শত্রুঘ্নের হাতে আবিরা… যোগীরা!”
ভারত ও মরিশাসের সম্পর্কের মিষ্টতা
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত ও মরিশাসের ঐতিহাসিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। তিনি স্মরণ করান, একসময় ভারতে মিষ্টি তৈরির জন্য চিনি মরিশাস থেকে আমদানি করা হতো। এই কারণেই গুজরাটে চিনিকে ‘মোরাস’ বলা হয়। তিনি বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত ও মরিশাসের সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠছে।”
মরিশাসের সর্বত্র ভারতের গন্ধ: প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যখনই তিনি মরিশাসে আসেন, তখন নিজেদের মধ্যে থাকার অনুভূতি হয়। তিনি বলেন, “এখানকার বাতাস, মাটি, জল—সবকিছুতেই এক আত্মীয়তার অনুভূতি রয়েছে। গান-বাজনায়, ঢোলকের তালে এবং গাতো পিমার স্বাদে ভারতের ঘ্রাণ মেলে।”
তিনি মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম ও তার মন্ত্রিসভার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং মরিশাসের জনগণকে জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “আমরা সবাই এক পরিবার, আর এই সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে।”