প্রেমিকার বাড়িতে লেহেঙ্গা পরে পৌঁছাল, দুজনের মধ্যে ঝগড়া; প্রেমিক পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিল, অবস্থা গুরুতর

উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার ফরহ থানার অন্তর্গত কোহ গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবক লেহেঙ্গা পরে তার প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে তাকে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। মহিলার স্বামী মাঠে গিয়েছিলেন এবং সন্তানরা স্কুলে ছিল। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা দৌড়ে এলে অভিযুক্ত যুবক পালানোর সময় ছাদ থেকে পড়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে মারধর করে অচেতন করে দেয়। অন্যদিকে, আগুনে পুড়ে যাওয়া মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রেমিকা’র জাঠানির ভাই
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১২টার সময় কোহ গ্রামে বসবাসকারী রেখার স্বামী সঞ্জু মাঠে গিয়েছিলেন, আর দুই সন্তান স্কুলে গিয়েছিল। রেখা তখন বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময় তার প্রেমিক, হরিয়ানার হাসানপুরের বাসিন্দা উমেশ, নারীর ছদ্মবেশে লেহেঙ্গা পরে ছাদের পথ দিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখানে কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং উমেশ রেখার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের শিখায় উমেশ নিজেও দগ্ধ হয়ে যায়।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পালিয়ে যাওয়া উমেশকে ধরে ফেলে। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। রেখাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
পরিবারের সদস্যদের দাবি, উমেশ হল রেখার জাঠানির ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় পাঁচ মাস আগে উমেশ, রেখাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ এক মাস আগে রেখাকে নৈনিতাল থেকে উদ্ধার করেছিল। তারপর থেকে রেখা উমেশের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই ক্ষোভ থেকেই উমেশ এই ঘটনাটি ঘটায়। পালানোর সময় সে ছাদ থেকে পড়ে যায় এবং গ্রামবাসীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।