ভারত কি সেনা পাঠাবে? বলুচিস্তানে সংকট তীব্র, সাহায্যের আবেদন

ভারত কি সেনা পাঠাবে? বলুচিস্তানে সংকট তীব্র, সাহায্যের আবেদন

বলুচিস্তানে সংঘর্ষ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বলুচ স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। পাকিস্তান এয়ারফোর্স বিদ্রোহীদের উপর যুদ্ধবিমান থেকে বোমা বর্ষণ করছে। এদিকে, পাকিস্তানি সেনার দাবি, মঙ্গলবার এক সুড়ঙ্গের কাছে বলুচ যোদ্ধাদের দ্বারা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন আক্রান্ত হয়। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী অন্তত ১৬ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে এবং ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস যখন গুদলার ও পীরু কোনেরি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন বিদ্রোহীরা ট্রেনটিতে হামলা চালায় এবং সেটিকে হাইজ্যাক করে। বলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য অভিযানের সময় ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয় এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। এখনও সংঘর্ষ চলছে এবং যতক্ষণ না সব যাত্রীকে নিরাপদে বের করা যাবে, ততক্ষণ সেনা অভিযান চলবে।

ভারতের দিকে চেয়ে বলুচরা

বলুচ সমর্থকরা এখন ভারতের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে ভারত বলুচদের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকেছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই বলুচ নেতা খান আব্দুল গফ্ফার খান ভারতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং পাকিস্তানের অংশ হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। বলুচ জনগণ কখনও পাকিস্তানের অংশ হতে চায়নি, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।

ভারতের বলুচ জনগণের প্রতি সংবেদনশীলতার প্রমাণ ১৯৮৭ সালে দেখা যায়, যখন রাজীব গান্ধীর সরকার খান আব্দুল গফ্ফার খানকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারত রত্ন’ প্রদান করে। তবে, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারত সরকার বলুচিস্তানকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবেই গণ্য করে। তাই সরাসরি বলুচ যোদ্ধাদের সহায়তা করা ভারতের জন্য কূটনৈতিকভাবে জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে এবং তা গোটা অঞ্চলের ভূরাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

4o

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *