ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পুতিন রাজি না হলে দেখিয়ে দেব কে আসল বস

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাশিয়া সফর করছেন, যেখানে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইউক্রেন এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে এবং এটি যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, ট্রাম্প রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছেন, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে যদি তারা আলোচনার পথে না আসে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্পকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে যে ধ্বংস ও প্রাণহানি ঘটেছে, তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
রাশিয়ার ওপর মার্কিন চাপ
ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তবে তাদের মূল লক্ষ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা। তিনি পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের তুলনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও দাবি করেন। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন। তবে, রাশিয়া এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরিষ্কার করেছেন, তারা কেবল তখনই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন যখন তাদের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কি সফল হবে, নাকি রাশিয়াকে চাপে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পদক্ষেপ নেবে? বিশ্বের অর্থনীতি ও লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন এই সংঘাতের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই একটি সমাধানের আশায় বিশ্ব তাকিয়ে আছে।
4o