ব্রিটিশ মহিলাকে গণধর্ষণ, ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্বের পর ফোন করা; হোটেলে ঘটনা

দিল্লির মহিপালপুরে এক বিদেশী মহিলার গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় একজন ব্যক্তি এবং একজন হোটেল কর্মচারীর নাম প্রকাশে এসেছে, যাদের পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ওই মহিলা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের পর এখানে পৌঁছেছিলেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও তদন্ত শুরু করেছে।
মামলার তথ্য দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে বসবাসকারী এক বিদেশী মহিলা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে কৈলাশ নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন। অভিযুক্ত মাতাল ছিল। এই সময়, মেয়েটি অভিযুক্ত যুবককে হোটেলে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায়। হোটেলে মহিলার সাথে অশ্লীল আচরণ করে অভিযুক্ত দুইজনই। বসন্ত কুঞ্জ (উত্তর) থানা পুলিশ দুই যুবককেই গ্রেপ্তার করেছে। দিল্লি পুলিশ ঘটনাটি সম্পর্কে ব্রিটিশ হাইকমিশনকে অবহিত করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্ত যুবক পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহারের বসুন্ধরায় থাকেন। তিনি রিল তৈরি করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে ভালোবাসেন। কয়েক মাস আগে, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে লন্ডনে বসবাসকারী এক মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। কয়েকদিন আগে মেয়েটি মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় ঘুরতে এসেছিল। সেখান থেকে সে কৈলাসকে ফোন করে দেখা করতে বলে। কৈলাস সেখানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং মেয়েটিকে দিল্লিতে আসতে বলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটি দিল্লিতে এসেছিল এবং মহিপালপুরের একটি হোটেলে অবস্থান করছিল।
মেয়ের ডাকে কৈলাস তার বন্ধু ওয়াসিমকে নিয়ে হোটেলে পৌঁছায়। সেখানে মদ পান করে খাবার খেয়েছি। এরপর, আমরা কথা বলতে বলতে হোটেলের ঘরে চলে গেলাম। এরপর অভিযুক্তরা মেয়েটির সম্মতি ছাড়াই তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর মেয়েটি চিৎকার শুরু করে এবং হট্টগোল শুরু করে। কৈলাস ওয়াসিমকে ঘরে ডেকে মেয়েটিকে বোঝানোর এবং শান্ত করার চেষ্টা করে।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, মেয়েটি রাতে ঘুমিয়েছিল, কিন্তু বুধবার সকালে সে নিজেই ফোর্টিস হাসপাতালে পৌঁছেছে। হাসপাতালে তার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর বিকেলে বসন্ত কুঞ্জ উত্তর থানা পুলিশ কৈলাস ও ওয়াসিমকে তার সাথে গ্রেপ্তার করে। তাদের দুজনকেই আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।