এই ৫টি অবস্থায় মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়, জানেন কি?

মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে ঋতুস্রাব একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল প্রজনন ব্যবস্থাকেই নির্দেশ করে না, বরং একজন মহিলার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্যকেও নির্দেশ করে।
তবে, নিয়মিত মাসিক চক্র থাকা সবসময় সব মহিলার পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক সময়, এমন কিছু কারণ থাকে যা এই চক্রকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায় বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যার মধ্যে পাঁচটি প্রধান কারণ রয়েছে:
পিরিয়ড কখন বন্ধ হতে পারে? (কখন পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে?)
১. থাইরয়েডের সমস্যা
থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত উৎপাদন) অথবা হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের কম উৎপাদন) উভয়ের কারণেই অনিয়মিত মাসিক হতে পারে অথবা মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আপনার অন্ত্র পরিষ্কার করতে, রাতে ঘুমানোর আগে এটি পান করুন, আপনার পেটের সমস্ত ময়লা বেরিয়ে যাবে
২. পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)
পিসিওএস হল একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যেখানে ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হয়। এই অবস্থা ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত করতে পারে এবং মাসিক অনিয়মিত হতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি এবং মুখে অবাঞ্ছিত লোমও এর লক্ষণ হতে পারে।
৩. মানসিক চাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য
অতিরিক্ত চাপ শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। এটি মাসিক চক্রকে ব্যাহত করতে পারে এবং মাসিক বন্ধ করে দিতে পারে।
৪. ওজন পরিবর্তন
হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ডায়েট বা ব্যায়ামের ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন করতে পারে না, যা ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে দিতে পারে।
৫. গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি হরমোনের পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে পিরিয়ড বিলম্বিত হতে পারে বা অনিয়মিত হতে পারে। বড়ি বন্ধ করার পরেও, শরীরের স্বাভাবিক চক্রে ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে।
যদি অনিয়মিত মাসিক বা বন্ধ হওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়াও, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করাও সহায়ক হতে পারে।