‘ 120KM গতিতে গাড়ি চারজনকে ধাক্কা মারল, মেয়ের জন্য হোলির রং আনতে গিয়ে মহিলার মৃত্যু

‘ 120KM গতিতে গাড়ি চারজনকে ধাক্কা মারল, মেয়ের জন্য হোলির রং আনতে গিয়ে মহিলার মৃত্যু

গুজরাটের ভডোদরা শহরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যখন এক ২০ বছর বয়সী যুবক তার গাড়ি চারজনের উপর চালিয়ে দেয়। এই দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে এবং অন্যান্য তিনজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১২.৩০ মিনিটে করেলীবাগ এলাকায় ঘটেছে।

দুর্ঘটনার পরের একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে চালক, যে প্রচণ্ড মত্ত অবস্থায় ছিল, গাড়ি থেকে বের হচ্ছে এবং “একটা আরেকটা রাউন্ড” বলে চিৎকার করছে। এই সময় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাকে ধরার চেষ্টা করছে, যখন আহতরা মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে আছেন।

আইনের ছাত্র অভিযুক্ত চালক

চালকের পরিচয় রক্ষিত চৌরাসিয়া হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যে উত্তর প্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা এবং ভডোদরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত, যে গাড়ির মালিক এবং দুর্ঘটনার সময় চৌরাসিয়ার সঙ্গে ছিল, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরিচয় মিত চৌহান হিসেবে পাওয়া গেছে, যে ভডোদরার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্ত, কালো টি-শার্ট এবং ধূসর প্যান্ট পরিহিত, গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে, যার সামনের অংশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে “একটা আরেকটা রাউন্ড” বলে চিৎকার করতে করতে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণ পরে “ॐ नमः शिवाय” (ওম নমঃ শিবায়) জপ করতে থাকে। গাড়ি থেকে আরেক ব্যক্তিকেও বের হতে দেখা যায়, যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনকে বলছিল যে, সে গাড়ি চালাচ্ছিল না।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন?

ঘটনার সময় গাড়ির গতি ছিল ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই দুর্ঘটনায় গাড়িটি দুটি স্কুটিকে ধাক্কা মারে, যার ফলে আরোহীরা পড়ে যান এবং গাড়ি তাদের টেনে নিয়ে যায়। মহিলা, যার পরিচয় হেমানি প্যাটেল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, তার নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে হোলির রং কিনতে বেরিয়েছিলেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বাকি তিনজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল জনতা জমায়েত হয়েছিল, যারা অভিযুক্ত চালককে মারধর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনার তদন্ত করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *