‘রাশিয়াকে শান্তির সাথে খেলার অনুমতি দেওয়া যায় না’, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন

‘রাশিয়াকে শান্তির সাথে খেলার অনুমতি দেওয়া যায় না’, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার:
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনের চলমান সংঘর্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তথাকথিত “ইচ্ছুক জোট” আরও শক্তিশালী করার জন্য শনিবার ২৫টি দেশের বিশ্ব নেতাদের সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেন।

লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে স্টারমার বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তির সাথে খেলার অনুমতি দিতে পারি না।”

এই বৈঠকে ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশন, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। আলোচনার মূল বিষয় ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তি। এই কলটি আগামী সপ্তাহের সামরিক পরিকল্পনা সভার আগে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এই দেশগুলি শান্তি রক্ষায় সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

কিয়ার স্টারমার বললেন – ‘যদি পুতিন সত্যিই শান্তি চান, তবে তাকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতেই হবে’

স্টারমার বলেন, “যদি পুতিন সত্যিই শান্তি চান, তবে এটি খুবই সহজ – তাকে ইউক্রেনে তার বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে এবং সারা বিশ্ব এটি দেখছে।”

তিনি ক্রেমলিনের রুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে “সম্পূর্ণ অবহেলা” করার অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র দেখায় যে পুতিন শান্তি সম্পর্কে আদৌ আন্তরিক নন। যদি রাশিয়া শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে আসে, তাহলে আমাদের যুদ্ধবিরতির তদারকি করতে প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে এটি একটি প্রকৃত এবং স্থায়ী শান্তি হয়। যদি তারা তা না করে, তবে আমাদের উচিত রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়ানো, যাতে এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।”

স্টারমার পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আগে “নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের” দাবি তুলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, “বিশ্বকে শুধু কথা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে হবে। ক্রেমলিনের প্রতি আমার বার্তা স্পষ্ট – ইউক্রেনের ওপর বর্বর হামলা একবারে ও চিরতরে বন্ধ করুন এবং এখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাব।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *