2029 সালে মানুষ পৌঁছাবে মঙ্গলে! এলন মাস্ক জানালেন তারিখ, জানুন পুরো বিষয়টি..

2029 সালে মানুষ পৌঁছাবে মঙ্গলে! এলন মাস্ক জানালেন তারিখ, জানুন পুরো বিষয়টি..

মানুষের মঙ্গল গ্রহে পা রাখার স্বপ্ন এখন বাস্তবের খুব কাছাকাছি, আর এই স্বপ্নকে সত্যি করার দাবি করছেন স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক। মাস্ক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে তাদের স্পেস মিশন আগামী বছর চালু হবে, যেখানে মানুষ নয়, বরং টেসলার হিউম্যানয়েড রোবট ‘অপ্টিমাস’ পাঠানো হবে।

এই মিশন মঙ্গলে মানুষের উপস্থিতির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে, তবে ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষ মঙ্গলের মাটিতে পা রাখতে পারে। যদিও, মাস্ক মনে করেন যে ২০৩১ সালকে বেশি সম্ভাব্য সময়সীমা হিসেবে ধরা উচিত।

মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন যে যদি অপ্টিমাসের এই মিশন সফল হয়, তবে ২০২৯ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষের অবতরণ সম্ভব হতে পারে। তবে, তিনি এটাও যোগ করেছেন যে ২০৩১ সাল আরও বাস্তবসম্মত সময়সীমা হতে পারে। এই ঘোষণার পর, গোটা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে যে সত্যিই কি মানব সভ্যতা খুব শিগগিরই অন্য এক গ্রহে পা রাখতে চলেছে!


স্পেসএক্সের মিশন ও মঙ্গলে মানব অভিযান

স্পেসএক্স ১৪ মার্চ তাদের ২৩তম বার্ষিকী উদযাপন করে, আর সেই দিনেই এলন মাস্ক এই চমকপ্রদ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, স্পেসএক্সের সবচেয়ে বড় মহাকাশযান ‘স্টারশিপ’ ২০২৬ সালের শেষের দিকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। এই মিশনে মানুষের বদলে পাঠানো হবে অপ্টিমাস রোবট, যা মঙ্গলের পৃষ্ঠে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চালাবে।


কী কী বড় চ্যালেঞ্জ আসতে পারে?

এলন মাস্কের পরিকল্পনা যতটা রোমাঞ্চকর, ততটাই কঠিন। মানুষকে মঙ্গলে পৌঁছে দেওয়ার পথ এখনো সহজ নয়। স্পেসএক্স ‘স্টারশিপ’ স্পেসক্রাফটের উন্নয়নে বহু বছর ধরে কাজ করছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বড় কোনো সাফল্য মেলেনি।

এখন পর্যন্ত ৮টি টেস্ট লঞ্চ ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়েছে। সর্বশেষ ৭ মার্চের পরীক্ষাও ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে স্টারশিপ উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই বিস্ফোরিত হয়ে তার টুকরোগুলো পৃথিবীতে পড়ে।

তবে এসব ব্যর্থতার পরও মাস্ক আত্মবিশ্বাস হারাননি। তার দল নিরলসভাবে কাজ করছে মহাকাশযানটিকে উন্নত করার জন্য, যাতে মঙ্গলের দীর্ঘ যাত্রা নিরাপদ করা যায়।


সত্যিই কি ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষ মঙ্গলে পৌঁছাবে?

মাত্র ৫ বছরে মানুষের মঙ্গলে যাওয়া যতটা উত্তেজনাপূর্ণ শোনায়, বাস্তবে তা ততটাই কঠিন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এখনও অনেক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মঙ্গলে নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে সেখানে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা— প্রতিটি ধাপই অত্যন্ত কঠিন।

কিন্তু এলন মাস্কের অতীত রেকর্ড দেখলে এটি আসাম্ভবও মনে হয় না। স্পেসএক্স ইতিমধ্যেই পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সফল মিশন চালিয়ে আসাম্ভবকে সম্ভব করেছে।

২০২৯ সালে মানুষ মঙ্গলে পৌঁছাবে, নাকি ২০৩১ সালে— সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই মুহূর্তে মহাকাশ দৌড় এক উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্পেসএক্স সম্পূর্ণ প্রস্তুত, এবং আগামী কয়েক বছর এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *