মর্গান স্ট্যানলি বলেছে, ভারত ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে
ভারতের অর্থনীতি: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের জন্য সুখবর। ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান মর্গান স্ট্যানলি তাদের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ২০২৮ সালের মধ্যে এটি ৫.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে, যার ফলে ভারত জার্মানিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। এই অসাধারণ বৃদ্ধি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং বছরের পর বছর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সাহসী অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলাফল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক শুরু করা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগগুলি শিল্পোন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা গ্রামকে শিল্প কেন্দ্র এবং শহরকে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক হাবে পরিণত করেছে। এই পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র শিল্পখাতের বিকাশ ঘটায়নি, বরং ভারতকে ডিজিটাল সুপারপাওয়ারে পরিণত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশাল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে শুধু দেশের চেহারাই বদলে যায়নি, বরং এটি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করেছে। ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং একাধিক বড় অর্থনৈতিক সংস্কার ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির মানচিত্রে এক শক্তিশালী অবস্থান দিয়েছে।
ভারতের এই উন্নয়ন ১.৪ বিলিয়ন মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। এর মূল চালিকা শক্তি হলো দেশের তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী জনশক্তি, যারা প্রতিদিন নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে।
ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারগুলি কর সংস্কার থেকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি—প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এই সংস্কারগুলো কেবলমাত্র অর্থনীতির গতি বাড়ায়নি, বরং ভারতকে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভারতের অর্থনীতি ক্রমশ উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে, এবং এটি স্পষ্ট যে ভবিষ্যৎ ভারতেরই। যেখানে একদিকে বিশ্ব অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি, সেখানে ভারত তার শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি ও উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।