হামাসের তিনটি শর্তে মার্কিন বন্দির মুক্তির প্রস্তাব, আলোচনার জন্য মিশরে দল পাঠালো

হামাস সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতি একটি নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যেখানে গাজা উপত্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রাখা হয়েছে। এই প্রস্তাবের অধীনে, হামাস রাফা ক্রসিং খোলার এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি, গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই শর্তগুলোর ভিত্তিতে, একজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি এবং চারজন বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। শনিবার হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান যে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন, যার লক্ষ্য হলো স্থায়ীভাবে সহিংসতা বন্ধ করা।
মিশরে রওনা দিলো হামাসের প্রতিনিধি দল
এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলি পক্ষকে পাঠানো হয়েছে এবং এখন তাদের জবাবের অপেক্ষা করা হচ্ছে। হামাস শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তাদের একটি আলোচনাকারী প্রতিনিধি দল মিশরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কায়রো যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো আলোচনা এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতির পর্যালোচনা করা।
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগেই মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হয়েছিল। তবে এই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ থমকে যাওয়ার পর প্রথম ৪২ দিনের সময়সীমা ১ মার্চ শেষ হয়ে গেছে।
ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ করল, সংকট আরও তীব্র
২ মার্চ থেকে, ইসরায়েল গাজায় সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে অঞ্চলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাব আলোচনার নতুন দিক উন্মোচন করেছে। হামাসের জন্য এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ প্যাকেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যদি উভয় পক্ষের মধ্যে এই শর্তগুলোর ওপর ইতিবাচক আলোচনা হয়, তাহলে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সহজ হতে পারে।