চীনে ‘মেড ইন রাশিয়া’ পণ্যে ভরে যাচ্ছে বাজার, কেন বাড়ছে রাশিয়ার প্রতি ভালোবাসা

চীনে ‘মেড ইন রাশিয়া’ পণ্যে ভরে যাচ্ছে বাজার, কেন বাড়ছে রাশিয়ার প্রতি ভালোবাসা

চীন ও রাশিয়ার অংশীদারিত্ব বর্তমানে তাদের সেরা সময়ে রয়েছে এবং এর প্রভাব চীনের বাজারে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। চীনের দোকানগুলোর বাইরে সাদা, নীল এবং লাল রঙের সাজসজ্জা করা হয়েছে, আর ছাদ থেকে চীনা ও রাশিয়ান পতাকা একসঙ্গে ঝুলছে।

ভেতরে তাকগুলোতে রাশিয়ান পণ্যে ভরপুর, যেখানে চকলেট ও কুকিজ থেকে শুরু করে মধু এবং ভদকা পর্যন্ত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে চীনে রাশিয়ান তৈরি পণ্যের সঙ্গে ব্যবসা করা পপ-আপ স্টোর খুব দ্রুত গজিয়ে উঠছে। তাদের এই বিস্তার দেখে অনেক বাসিন্দা অবাক হচ্ছেন এবং চীনা সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কিভাবে রাতারাতি এই স্টোরগুলো খুলে যাচ্ছে।

২০২২ সালে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেড়েছে। বর্তমানে চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল, যা ক্রমাগত বাড়ছে।

চীন রাশিয়ান পণ্যকে নতুন জীবন দিয়েছে

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন রাশিয়ান পণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক লাইফলাইন হয়ে উঠেছে। চীন নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে ব্যাপক পরিমাণে রাশিয়ার পণ্য কিনছে। সস্তা রাশিয়ান তেল, গ্যাস ও কয়লার পাশাপাশি চীন রাশিয়া থেকে আইসক্রিম, মিষ্টি বিস্কুট ও গুঁড়ো দুধও কিনছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে রাশিয়ার সাধারণ জনগণও চীনা পণ্য বেশ পছন্দ করছে।

চীনা জনগণের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দেশজুড়ে হাজার হাজার স্টোর খোলা হয়েছে, যা একেবারেই রাশিয়ান পণ্যের ব্যবসা করছে।

চীনা কো ম্পা নিগুলোর লাভবান হওয়া

চীনের ব্যবসায়িক রেকর্ড অনুযায়ী, গত তিন বছরে রাশিয়ান পণ্যে ব্যবসা করার জন্য ২,৫০০-রও বেশি নতুন কো ম্পা নি নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক কো ম্পা নি গত বছরই নিবন্ধন পেয়েছে। রাশিয়ান পণ্যের বাড়তি চাহিদার অন্যতম কারণ এর সস্তা ও ভালো মানের হওয়া। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়া ও চীন বার্টার সিস্টেমের পাশাপাশি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমেও ব্যবসা করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *