বালুচদের আক্রমণে পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে, চীনও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে…, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এখন কী করবেন

পাকিস্তান বিএলএ আক্রমণ: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বিএলএর ক্রমাগত আক্রমণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই হামলায় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, সিপিইসি (চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর) প্রকল্পের সুরক্ষার জন্য ৪০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু এখনও হামলা চলছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হেমন্ত মহাজন বলেছেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর ক্রমাগত আক্রমণ দেখায় যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কনভয় নিরাপদ নয় এবং এর প্রভাব চীনের উপরও পড়ছে।
পাকিস্তানের অস্থির এলাকায় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। চীন বিশ্বাস করে যে পাকিস্তান যদি তার সেনাবাহিনীকে নিরাপদ রাখতে না পারে, তাহলে সিপিইসির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রক্ষা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। বেলুচিস্তান অঞ্চলটি চীনের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে এবং এই অঞ্চলটি পাকিস্তান বিরোধী গোষ্ঠীগুলির আক্রমণের শিকার।
চীন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে
চীন পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং বলেছে যে যতক্ষণ না বেলুচিস্তানে সহিংসতা বন্ধ হয় এবং বিএলএর হুমকি হ্রাস না পায়, ততক্ষণ সেখানে কোনও নতুন বিনিয়োগ করা হবে না। এছাড়াও, চীন এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পাকিস্তানের কাছ থেকে বেলুচিস্তানে বড় সামরিক অভিযানের দাবিও করছে। তবে, পাকিস্তান এ ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত কারণ সামরিক পদক্ষেপ স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২০০১ সাল থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বেলুচিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে, কিন্তু এখন বিএলএ তাদের আক্রমণে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এর কাছে উন্নত অস্ত্র রয়েছে এবং এর যোদ্ধারা এখন আরও কার্যকর হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে বেলুচিস্তানে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অভিযান চালানো কঠিন হতে পারে।
সিপিইসির জন্য বিশাল সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে পাকিস্তান
সিপিইসি প্রকল্পগুলি রক্ষার জন্য পাকিস্তান অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে এবং চীনও বিএলএকে শান্ত করার জন্য কিছু গোপন পদক্ষেপের চেষ্টা করেছে। তবে, হামলার ফ্রিকোয়েন্সি কোনও হ্রাস পায়নি, যা পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্যও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে, কারণ চীনের ২১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এখন বিপদের মুখে এবং পাকিস্তান এই বিনিয়োগ রক্ষার জন্য আরও অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত। কিন্তু বিএলএ-র ক্রমাগত আক্রমণের কারণে, এই বিনিয়োগ এখন চীনের জন্যও একটি বড় ঝুঁকি হয়ে উঠছে।