আমেরিকা শীর্ষে, ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়: তবুও কেন কোনো দেশ এই তালিকায় থাকতে চায় না?
India News (ইন্ডিয়া নিউজ), সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি যুক্ত দেশসমূহ:
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। অনেকেরই ধারণা, আমেরিকার প্রচুর অর্থ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। আমেরিকার ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং এর সুদ পরিশোধ করতেই দেশটিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
আপনি শুনে অবাক হবেন যে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা দেশের তালিকায় আমেরিকা শীর্ষস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি অর্থাৎ ট্রেড ডেফিসিট ছিল ১.১ ট্রিলিয়ন ডলার।
এই কারণেই আমেরিকা তার তিনটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। এই দেশগুলো আমেরিকার সঙ্গে ট্রেড সারপ্লাস অবস্থায় রয়েছে। চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি ২৯৫.৪ বিলিয়ন ডলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) সঙ্গে ২৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার, এবং মেক্সিকোর সঙ্গে ১৭১.৮ বিলিয়ন ডলার।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত
আমেরিকার পরেই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। চলতি অর্থবছরে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এটি ২১০.৭৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এতে ১১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ১৮৯.৭৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
GTRI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ১৫১টি দেশের সঙ্গে ট্রেড সারপ্লাস রাখছে। এর মধ্যে আমেরিকা এবং নেদারল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত। তবে ৭৫টি দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যার মধ্যে চীন ও রাশিয়া অন্যতম। ২০২৩-২৪ সালে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
তালিকায় আরও কোন দেশ রয়েছে?
সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতির তালিকায় ভারত ও আমেরিকার পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য (UK)। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৩৩.১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে:
- তুরস্ক: ৮৬.৩ বিলিয়ন ডলার
- ফ্রান্স: ৮২.৩ বিলিয়ন ডলার
- ফিলিপাইন: ৬৫.৯ বিলিয়ন ডলার
- জাপান: ৪৭.৯ বিলিয়ন ডলার
- স্পেন: ৩৭.৫ বিলিয়ন ডলার
- গ্রীস: ৩৫.৭ বিলিয়ন ডলার
- রোমানিয়া: ৩১.৩ বিলিয়ন ডলার
এই তালিকায় থাকা প্রতিটি দেশ চায় তাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে, কারণ এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।