অন্ধকার রাত, মুখে মুখোশ এবং টার্গেট খতম! পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের শত্রুদের শেষ করে দিচ্ছে কে সেই ‘অজ্ঞাত সম্রাট’?

“অন্ধকার রাতের নিঃসঙ্গ পথে… যাকে সবাই সম্রাট বলে!”
বলিউডের এই গান এখন পাকিস্তানে একেবারে বাস্তব চিত্র হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেওয়া এবং সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করা পাকিস্তান এখন ভয়ংকর সমস্যায় পড়েছে।
মূলত, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য ও দেশীয় সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত পাকিস্তান। এর ওপর তালেবান এবং বেলুচিস্তান বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও পাকিস্তানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেও পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই ‘অজ্ঞাত সম্রাট’, যে রাতের অন্ধকারে এসে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয় এবং পাকিস্তান সরকারের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
কে এই ‘অজ্ঞাত সম্রাট’?
এ পর্যন্ত কেউ তাকে দেখেনি, তার সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। সে মুখোশ পরে আসে, আর পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ভারতের শত্রুদের শেষ করে চলে যায়।
শনিবার রাতেও সেই ‘অজ্ঞাত সম্রাট’ ভারতের আরও এক শত্রুকে খতম করল। তার নাম ছিল ফয়সল নদীম ওরফে আবু কাতাল। আবু কাতাল ভারতের অন্যতম শত্রু হাফিজ সাঈদের ভাতিজা এবং রেয়াসি জেলায় হওয়া সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল। তাকে NIA-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রাখা হয়েছিল। প্রতিবারের মতোই এইবারও মুখোশধারী অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা শনিবার রাত ৮টার দিকে ঝেলাম জেলায় তাকে গুলি করে হত্যা করে।
একই ধাঁচের হত্যা, একই লক্ষ্য!
সম্প্রতি পাকিস্তানে ভারতের শত্রুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, সবকটির ধরন এক। রাতের অন্ধকারে মুখোশধারী আততায়ীরা আসে, টার্গেটকে গুলি করে হত্যা করে এবং বাতাসের মতো উধাও হয়ে যায়। তাদের টার্গেট সবসময়ই সেই ব্যক্তিরা, যারা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছে।
পাকিস্তানে ভারতের শত্রুদের টার্গেট কিলিং ২০২১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। সেই সময়েই প্রথম সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদের ওপর হামলা হয়েছিল, যদিও সে বেঁচে যায়। তবে, অনেকে মনে করেন, তখন থেকেই এই অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে একের পর এক ভারতের শত্রুদের নিশানা বানানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত যাদের খতম করা হয়েছে
- লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী ফয়সল নদীম ওরফে আবু কাতাল
- লস্কর-ই-তৈয়বার রাজনৈতিক শাখার প্রধান মৌলানা কাশিফ আলী
- ISI-এর আন্ডারকভার এজেন্ট মুফতি শাহ মীর
- জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ রহিম উল্লাহ তারিক
- লস্কর সন্ত্রাসী আকরাম গাজী
- খোয়াজা শাহিদ
- জিয়াউর রহমান
- হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসী বশির আহমদ পীর
- জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসী জহুর ইব্রাহিম
- আইএসপিআরের কর্মকর্তা মেজর দানিয়াল
তবে পাকিস্তান এই হত্যাগুলোর বিষয়ে বরাবরই নীরব। পাকিস্তান এখন মরিয়া হয়ে খুঁজছে, কারা এই ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারী’? কে তাদের পাঠাচ্ছে? এবং কেন তারা শুধুমাত্র ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা সন্ত্রাসীদের খতম করছে?