শ্বশুরের সঙ্গে হোলি খেলায় বৌমার মৃত্যু, শাশুড়ির সন্দেহে তোলপাড়

উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার ত্রিকালপুর গ্রামে হোলির উৎসব মৃত্যু আর শোকের গল্পে পরিণত হয়েছে। হোলির দিনে শ্বশুরের সঙ্গে রং খেলার সময় শাশুড়ির সন্দেহ ও বকাঝকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে বৌমা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ ঘটনায় গ্রামে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না এলেও, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পুলিশ।
ত্রিকালপুর গ্রামের বাসিন্দা অঞ্জনি চৌহান মহারাষ্ট্রে চাকরি করেন। তার স্ত্রী ধনবতী দেবী দুই সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। হোলির দিনে ধনবতী শ্বশুরকে রং লাগানোর পর শাশুড়ি এতে ক্ষুব্ধ হন এবং বৌমাকে তীব্র ভাষায় বকাঝকা শুরু করেন। শাশুড়ি ধনবতী ও শ্বশুরের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দিন ধরে বাড়িতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল। শেষ পর্যন্ত ধনবতী বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। তার অবস্থা গুরুতর হলে পরিবার তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, পরে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর পেয়ে ধনবতীর মায়ের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে পৌঁছান। পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সহতওয়ার থানার ইনচার্জ দীনেশ পাঠক জানান, মৃতের মায়ের বাড়ির লোকজন ফোনে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না আসায় তদন্তের গতি সীমিত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পরিবারটির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।