ভ্রমণ সবার জন্য মজার নয়। কিন্তু যখনই কাউকে বিমানে ভ্রমণ করতে হয়, তখন এটি একটি স্মরণীয় ধরণের ভ্রমণ। কিন্তু যখনই আমাদের বিমানে উঠতে হয়, তার আগে আমাদের কী খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া উচিত নয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

ভ্রমণের সময় সঠিক খাবার না খেলে কিছু লোক পেট ফাঁপাতে ভুগতে পারে। আমরা আপনাদের সাথে একটি তালিকা শেয়ার করছি যা আপনাদের জানাবে বিমান ভ্রমণের সময় আপনার কী খাওয়া উচিত এবং কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।

এই খাবারগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলুন

১. মশলাদার খাবার- মশলাদার এবং ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার গ্রহণ পেটে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। পেট ফাঁপা বা বদহজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে এই ধরনের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

২. মটরশুটি এবং ডাল – ডাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে এগুলি প্রোটিনের একটি শক্তিশালী উৎস। এগুলো খাওয়ার পর উড়ে গেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। মসুর ডাল এবং মটরশুটি যেমন কিডনি বিন বা ব্ল্যাক আইড মটর পেট ফাঁপা এবং ভারী বোধের কারণ হতে পারে।

৩. কার্বনেটেড পানীয়- ঠান্ডা পানীয়তে সোডা থাকে। ফ্লাইটের আগে বা চলাকালীন এই ধরনের চিনিযুক্ত পানীয় পান করলে পেটে গ্যাস হতে পারে এবং পেট ফাঁপাও হতে পারে। অতএব, প্রথমে এটি পান করা এড়িয়ে চলুন।

৪. দুগ্ধজাত খাবার- ল্যাকটোজযুক্ত খাবারও হজমশক্তি নষ্ট করে। অতএব, বিমানে ভ্রমণের আগে কখনই দুধ, দই বা অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে।

৫. ভাজা খাবার- প্রায়শই বিমানবন্দরে মানুষ ভাজা ইত্যাদি খায় কারণ সেখানে এই ধরনের খাবার বিক্রির অনেক দোকান রয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চারা এগুলো খেতে পছন্দ করে কিন্তু আমাদের এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো খেলে পেটে ভারী ভাবও আসে।

আমাদের কী খাওয়া উচিত?

১. জল- ভ্রমণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জলয়োজন। অস্বাস্থ্যকর জুস এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করলে জলশূন্যতা দেখা দেয়। অতএব, তরল পদার্থের মধ্যে পানীয় জলই সর্বোত্তম বিকল্প।

২. খিচুড়ি-ডালিয়া- ভ্রমণের আগে যদি কিছু খেতে চান, তাহলে হালকা মশলা দিয়ে তৈরি ডালিয়া এবং খিচুড়ি খেতে পারেন। আপনি কিছু সবজির সাথে মিশিয়েও এগুলি তৈরি করতে পারেন। আপনি কিছু ফলও খেতে পারেন তবে মনে রাখবেন যে আপনার সাইট্রাস ফল খাওয়া উচিত নয়।