দেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের একটি স্থায়ী ও বৈজ্ঞানিক সমাধান বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন এখন ভোটার আইডি (EPIC) কে আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করার পরিকল্পনার পুনর্বিবেচনা করছে।

এই পদক্ষেপটি সেই ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে, যারা একাধিক স্থানে ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে মিলে একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। মঙ্গলবার, নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব ও UIDAI-এর সিইও-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। এই বৈঠকে ভোটার আইডির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর গভীর আলোচনা হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জোর দিয়ে বলেছেন যে, একই ভোটারের নাম ও পরিচয় সঠিক করার জন্য এই উদ্যোগটি অপরিহার্য। এর ফলে ভুয়া ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সহজ হবে।

বিরোধী দলগুলোর ভুয়া ভোটার নিয়ে অভিযোগ

এই বৈঠক এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (UBT), এনসিপি (SCP) এবং বিজেডি-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল একই EPIC নম্বরযুক্ত ভোটারদের বিষয়টি উত্থাপন করেছে। কমিশন স্বীকার করেছে যে, কিছু রাজ্যে খারাপ আলফানিউমেরিক সিরিজের কারণে ভুলবশত একই নম্বর আবার ইস্যু করা হয়েছিল, তবে এটিকে জালিয়াতি বলা যাবে না। এখন এই সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য কমিশন সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন ৮০০-র বেশি জেলায় জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ৫০০০-র বেশি বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। এই বৈঠকগুলোর প্রতিক্রিয়া ৩১ মার্চের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।

আধার-ভোটার আইডি লিঙ্কের প্রশ্নে কমিশনের পূর্বের বক্তব্য

২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার (PIL) জবাবে কমিশন স্পষ্ট করেছিল যে, ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক নয়। এখন কমিশন বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত আইনি ও প্রযুক্তিগত পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে, যার পরে মানুষের ঠিক যেভাবে আধার ও প্যান লিঙ্ক করতে হয়েছিল, সেভাবেই আধার ও ভোটার আইডিও লিঙ্ক করতে হতে পারে।