সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ কখনও জনসমক্ষে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। তবে ক্যাটরিনার ক্যারিয়ারের পিছনে সালমানের অবদান ইন্ডাস্ট্রিতে একটি ‘খোলা খাতার’ মতো।

যদিও তারা কিছুদিনের জন্য সম্পর্কে ছিল, তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১২ সালে ক্যাটরিনা এবং সালমানের বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের বিচ্ছেদের পর, তারা ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে একসাথে কাজ করেছিলেন।

তা সত্ত্বেও, তিনি বেশ কয়েকটি চাকরি করেছেন। তবে সালমান ক্যাটরিনার বিয়েতে যোগ দেননি। যদিও ক্যাটরিনার সাথে তার সম্পর্ক ভেঙে যায়, তবুও অন্যান্য প্রেমিক-প্রেমিকাদের মতো তিনি তার সাথে দেখা করা বন্ধ করেননি। তবে, সালমান একবার ক্যাটরিনাকে তার বিকল্প ক্যারিয়ার পছন্দ সম্পর্কে বলেছিলেন, “তার উচিত বাড়িতে থাকা এবং তার বাচ্চাদের বড় করা।” জবাবে কী বললেন অভিনেত্রী?

ক্যাটরিনা ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর থেকেই সালমানকে তার পরামর্শদাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাইরের অনেকেই সালমানের ব্যক্তিত্বের কারণে তাকে ভয় পান। তবে, তার ঘনিষ্ঠরা বারবার তার রসবোধের প্রশংসা করেছেন। বহু বছর আগে, যখন সালমানকে একটি অনুষ্ঠানে ক্যাটরিনার বিকল্প ক্যারিয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন অভিনেতা বলেছিলেন, “তার বিয়ে করা উচিত, বাড়িতে থাকা উচিত এবং তার সন্তানদের লালন-পালন করা উচিত।” ক্যাটরিনা দ্রুত ভুলটি দেখিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, প্রশ্ন ছিল তুমি ডাক্তার না ইঞ্জিনিয়ার? সালমানের মন্তব্যের জবাবে ক্যাটরিনা বলেন, “সন্তান লালন-পালন করা খুবই কঠিন কাজ।”

২০০৫ সালে সালমানের সাথে ক্যাটরিনা প্রথম কাজ করেন ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া ছবিতে। এরপর, অনেক ফ্লপ ছবি সত্ত্বেও, তার কাজের অভাব হয়নি। বলিউডের ‘সুলতান’-এর সৌজন্যে। তাকে নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবুও, ‘সাল্লু মিয়া’ কখনও ক্যাটের হাত ছেড়ে যায়নি। ক্যাটরিনা এখন ভিকি কৌশলের স্ত্রী। তা সত্ত্বেও, সালমানের সাথে তার বন্ধুত্বে কোনও ফাটল ধরেনি।