ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে, ২ জন নিহত, ১৯ জন আহত

ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে, ২ জন নিহত, ১৯ জন আহত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ সিরিয়ার দারা এবং দামেস্ক প্রদেশে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, সোমবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দারা অঞ্চলে হামলা চালায়, যেখানে ধারণা করা হয় যে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অস্ত্র মজুদ ছিল।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ১৭ মার্চ গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছিল। হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ১৭ ও ১৮ মার্চ রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দারা ও দামেস্কে বিমান হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সামরিক হুমকি দূর করার উদ্দেশ্যে এই বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলো ইসরায়েলের কথিত হুমকি মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ, যেখানে সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী অভিযানের ধারাবাহিকতা।

এই ঘটনা অঞ্চলটির উত্তেজনা এবং সাবেক সিরীয় শাসনের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সক্রিয় প্রতিরক্ষা অবস্থানের একটি প্রমাণ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সরকারি বিবৃতিতে কমান্ড সেন্টার ও সামরিক সুবিধাগুলোর ওপর অভিযানের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, যেগুলোতে অস্ত্র ও সামরিক যানবাহন ছিল, যা ইসরায়েলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছিল।

কেন দারা ছিল লক্ষ্যবস্তু?

জানা গেছে, সিরিয়ার দারা অঞ্চলে হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও ইসরায়েল এই অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, কারণ ইসরায়েলের দৃষ্টিতে হুমকি স্বরূপ সামরিক স্থাপনা দারায় গুরুত্বপূর্ণভাবে সংরক্ষিত।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী আর কোথায় হামলা চালিয়েছে?

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (IAF) দামেস্কে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (PIJ)-এর একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে পৃথক অভিযান চালিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মতে, এই কেন্দ্রটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল।

IAF গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দামেস্কে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ সংশ্লিষ্ট একটি সন্ত্রাসী কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। IDF তাদের এক্স (টুইটার)-এ পোস্ট করে জানিয়েছিল যে, “এই কমান্ড সেন্টারটি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।”

এই হামলায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, এবং সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হামলার পর কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না – তা সে দামেস্ক হোক বা অন্য যেকোনো জায়গায়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *