স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন হয়রানি, সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যার জন্য নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে দিল

স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন হয়রানি, সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যার জন্য নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে দিল

কর্নাটকের বেলগাম এলাকায় এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটি নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, এক ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েটি এই চরম পদক্ষেপ নেয়। সেই ছেলেটি কয়েকদিন ধরে তাকে বিরক্ত করছিল।

ছেলেটি মৃত কিশোরীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং জোর করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার জন্য চাপ দিত।

এই ঘটনা বেলগামের ঘটপ্রভা গ্রামে ঘটেছে। সেখানে বসবাসকারী ১৭ বছরের এক নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে। যখন বাড়িতে কেউ ছিল না, তখন সে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় তার প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে আত্মহত্যা করতে দেখে। প্রতিবেশীরা তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। মেয়েটিকে দেখে তার মা-বাবা হতবাক হয়ে যান।

হাসপাতালে মৃত্যু

আগুনে মেয়েটির শরীর ভয়ানকভাবে পুড়ে যায়, এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে বেলগামের BIMS হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি এবং ১৭ মার্চ সে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। জানা গেছে, সে দশম শ্রেণিতে পড়ত এবং তার পরীক্ষাও চলছিল।

স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে করত হয়রানি

মেয়েটির বাবা-মা অভিযোগ করেছেন যে, সিদ্ধলিঙ্গ নামের এক যুবক তাদের মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর জন্য জোর করত। এই কারণেই তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা আরও জানিয়েছেন, সিদ্ধলিঙ্গ তাদের মেয়েকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিল। মৃত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা ঘটপ্রভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত সিদ্ধলিঙ্গকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জেলে পাঠানো হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *