আমেরিকারই বিশ্বাসে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প দিতে চলেছেন বড় ধাক্কা; রাশিয়ার আনন্দ

আমেরিকারই বিশ্বাসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু, এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিমিয়াকে রুশ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য শান্তি চুক্তির অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জানা গেছে যে, রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় আক্রমণ চালিয়ে এটি ইউক্রেন থেকে আলাদা করে নিয়েছিল। সূত্র জানিয়েছে যে, আমেরিকার কর্মকর্তারা জাতিসংঘকেও এটি করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে। যদিও রয়টার্স এই রিপোর্টটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করেনি, তবে হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে, ক্রিমিয়া সম্পর্কিত সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি হতে পারে। এই মধ্যে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা মঙ্গলবার বলেছেন যে, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে তার বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, কিন্তু তারা তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা থেকে কোনো ছাড় দেবে না। তিনি বলেন, “আমরা রাশিয়ার দ্বারা দখলকৃত কোনো এলাকা কখনও স্বীকৃতি দেব না। ইউক্রেনের উপর আক্রমণ করে রাশিয়া কোনো কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করেনি।”
ট্রাম্প আজ পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এই প্রস্তাবিত আলোচনা ট্রাম্পের জন্য আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতিকে নতুন দিশা দেওয়ার সুযোগ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা দেখব, আমাদের কাছে ঘোষণা করার মতো কিছু আছে কিনা। আমি মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব।” তিনি বলেন, “সপ্তাহান্তে অনেক কাজ করা হয়েছে। আমরা দেখতে চাই, কি আমরা এই যুদ্ধ শেষ করতে পারি।” রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে পূর্বে ডোনেত্স্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল, দেশের দক্ষিণ-পূর্বে খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চল রয়েছে। তবে, এসবের কোনোটিতেই তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই।