এবার ভোটার আইডি আধারের সাথে লিঙ্ক করা হবে! নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বড় বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল

নতুন দিল্লি: ভোটার আইডি কার্ড (EPIC) আধারের সাথে লিঙ্ক করার জন্য নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো ভোটার তালিকার নির্ভুলতা বৃদ্ধি করা এবং জালিয়াতি রোধ করা। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) এর কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সাথে সহযোগিতায় কাজ করা হবে।
সভায় গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, নির্বাচন কমিশনার ডঃ এসএস সান্ধু এবং ডঃ বিবেক যোশী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন বিভাগের সচিব এবং ইউআইডিএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় ভোটার আইডি কার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করার আইনি ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলি বিবেচনা করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৯৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৬৬ কোটিরও বেশি ভোটার স্বেচ্ছায় কমিশনের কাছে তাদের আধার নম্বর জমা দিয়েছেন। তবে, এগুলো এখনও ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সংযুক্ত করা হয়নি। কমিশন এখন বাকি ৩৩ কোটি ভোটারের আধার নম্বর সংগ্রহের উপর মনোযোগ দেবে।
তথ্য সুরক্ষা
বৈঠকে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে EPIC-কে আধারের সাথে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়ায় কোনও তথ্য ভাগ করা হবে না। এই সিস্টেমটি শুধুমাত্র ভোটারের পরিচয় প্রমাণ করবে এবং একাধিক জায়গায় নিবন্ধিত ভুয়া নাম বা ভোটারদের অপসারণে সাহায্য করবে।
ভোটার আইডি কার্ড আধারের সাথে লিঙ্ক করার সুবিধা
১. ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করা হবে এবং অনিয়ম দূর করা হবে।
২. ভোটার তালিকা আরও খাঁটি এবং স্বচ্ছ হবে।
৩. একজন ব্যক্তির নামে শুধুমাত্র একটি জায়গা থেকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, যার ফলে দ্বিগুণ ভোট দেওয়া রোধ করা যাবে।
৪. রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ হ্রাস পাবে, কারণ ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল হবে।
৫. ঠিকানা আপডেট করা সহজ হবে, কারণ আধারে ঠিকানা পরিবর্তন করার পরেও, মানুষ ভোটার আইডি কার্ডে এটি আপডেট পায় না।
সাংবিধানিক এবং আইনি দিক
নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৩(৪), ২৩(৫) এবং ২৩(৬) ধারা পরীক্ষা করে দেখে। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩ সালের সিদ্ধান্তও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যেখানে আধার বাধ্যতামূলক করার কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না।
পরবর্তী পদক্ষেপগুলি কী হবে?
নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে যে ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে, ভোটাররা নিজেরাই তাদের নাম আধারের সাথে সংযুক্ত করতে এগিয়ে আসবেন। এই প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে যাতে আধার এবং EPIC নিরাপদে লিঙ্ক করা যায়।