কিং চার্লসের সমর্থন: কানাডা-আমেরিকা বিরোধে উত্থিত নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

কানাডা এবং আমেরিকার মধ্যে ট্যারিফ যুদ্ধ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার হুমকির পর, দুই দেশের সম্পর্ক এখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কানাডার সংসদ একমত হয়ে জানিয়েছে, “কানাডা বিক্রির জন্য নয়,” যা ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া। তবে, এই দ্বন্দ্বের মাঝে কিং চার্লস, যিনি কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান, তার ভূমিকা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। যদিও তিনি সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি, কিং চার্লসের একাধিক ইশারা কানাডার প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
কিং চার্লসের সমর্থন খুবই সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ৩ মার্চ ট্রুডোর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন, যা কানাডীয়দের জন্য রাজতন্ত্রের প্রতি একধরনের ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এছাড়া, ১২ মার্চ তিনি কানাডিয়ান সেনেটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে, কানাডার সংবিধান অনুসারে, কিং চার্লস রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না, কারণ তিনি একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের প্রধান। এর মানে হল যে, তার সমর্থন এমনকি প্রতীকী রূপে প্রকাশিত হলেও, এটি কানাডার শক্তিশালী অবস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।