নাবালিকার পিরিয়ডস হচ্ছিল না, পেট ফুলে যাচ্ছিল, স্কার্টের নিচে তাকিয়েই হতবাক ডাক্তার

নাবালিকার পিরিয়ডস হচ্ছিল না, পেট ফুলে যাচ্ছিল, স্কার্টের নিচে তাকিয়েই হতবাক ডাক্তার

প্রকৃতি মহিলাদের শরীরের গঠন এমনভাবে তৈরি করেছে যে তারা ভবিষ্যতে নতুন জীবন জন্ম দিতে সক্ষম হয়। এর সূচনা কৈশোরে হয়, এবং মেয়েদের পিরিয়ডস হওয়ার প্রক্রিয়াকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

ছত্তিশগড়ে বসবাসরত একটি মেয়ের বাবা-মা তার পিরিয়ডস না হওয়ার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানে যাওয়ার পর তারা যা জানতে পারেন, তা সত্যিই অবাক করার মতো ছিল।

পরিবারের সদস্যরা ১৭ মার্চ মেয়েটিকে চন্দ্রুলাল চন্দ্রাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ১৪ বছর বয়সী মেয়েটির পিরিয়ডস হচ্ছিল না। যখন তাকে ডাক্তাররা পরীক্ষা করেন, তখন দেখা যায় যে তার মাসিকের স্তরই নেই। পিরিয়ডস না হওয়ার কারণে তার পেটে ফোলা ভাব ছিল। অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সার্জারির মাধ্যমে ডাক্তাররা তার মাসিকের স্তর খুলে দেন।

প্রথমবার সামনে এল এমন ঘটনা
হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অঞ্জনা চৌধুরী জানান, এর আগে এমন ঘটনা হাসপাতালের সামনে আসেনি। পরিবার জানিয়েছিল যে মেয়েটির পিরিয়ডস হয়নি এবং তার পেট ফোলা ছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায় যে জন্মগতভাবেই তার যোনির স্তর বন্ধ ছিল। তাই সার্জারির মাধ্যমে একটি ছিদ্র তৈরি করা হয়, যাতে তার পিরিয়ডস শুরু হতে পারে। সার্জারির পরপরই তার মাসিক শুরু হয়।

জন্মগত সমস্যা ছিল
ডাক্তারের মতে, এটি জন্মগত সমস্যা ছিল। মেয়েটির আলট্রাসাউন্ডসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ইনপারফোরেট হাইমেন’ বলা হয়, যার ফলে মাসিকের রাস্তাটি বন্ধ থাকে। সার্জারির মাধ্যমে হাইমেনে ছিদ্র তৈরি করে এই সমস্যা সমাধান করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *