গান্ধীর প্রপৌত্রী নীলাম্বেন আর নেই: শেষকৃত্য আজ

মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রী নীলাম্বেন পারিখ ১ এপ্রিল গুজরাটের নওসারিতে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৯৩ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু গান্ধী পরিবারের আরেকটি প্রজন্মের অবসান ঘটাল। তিনি ছিলেন গান্ধীর পুত্র হরিলালের নাতনী এবং গান্ধীবাদী আদর্শের এক প্রতীক। আজ তাঁর শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমবেন অনেকে।
শেষ যাত্রার বিবরণ
নীলাম্বেনের শেষকৃত্য আজ, ২ এপ্রিল, সকাল ৮টায় নওসারির বাড়ি থেকে শুরু হবে। সেখানে সকাল ৭টা থেকে লোকজন তাঁকে শেষ দেখার জন্য আসতে পারবেন। এরপর শোভাযাত্রা বীরওয়াল শ্মশানের দিকে রওনা দেবে, যেখানে পূর্ণ রীতিনীতি মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাধারণভাবে অনুষ্ঠানটি করা হবে, যা গান্ধীজির সরলতার প্রতিফলন।
গান্ধীবাদী জীবনের পথিক
নীলাম্বেন তাঁর জীবন গড়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে। সত্য, অহিংসা ও সেবার পথে তিনি অবিচল ছিলেন। নারী কল্যাণ ও সমাজসেবায় তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “তিনি বাপুর নীতি মেনে চলতেন। দেশ ও সমাজের জন্য তাঁর ত্যাগ অপরিসীম।” তিনি কখনও প্রচারের আলোয় আসতে চাননি, কিন্তু তাঁর কাজ নীরবে প্রভাব ফেলেছে।
বাপুর চিতাভস্ম বিসর্জনের স্মৃতি
২০০৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নীলাম্বেন এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বাপুর অবশিষ্ট চিতাভস্ম মুম্বাইয়ের কাছে আরব সাগরে বিসর্জন দেন। সে সময় গান্ধীজির অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এই ঘটনা তাঁর গান্ধীবাদের প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ।
পরিবারে শোকের ছায়া
নীলাম্বেনের মৃত্যুতে গান্ধী পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর নাতি রাজেশ পারিখ বলেন, “তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি।” নওসারির স্থানীয়রাও তাঁকে একজন সাধারণ, কিন্তু মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণ করছেন।