রতন টাটার উইল: কুকুর পেল ১২ লাখ, শেষকৃত্যে ২৫০০ টাকা!

রতন টাটার উইল প্রকাশ্যে এসেছে, আর তা নিয়ে চমকের শেষ নেই। তাঁর রাঁধুনি-ড্রাইভার কোটিপতি হয়েছেন, পোষা কুকুর টিটোর জন্য রাখা হয়েছে ১২ লাখ টাকা, কিন্তু নিজের শেষকৃত্যের জন্য তিনি বরাদ্দ করেছেন মাত্র ২৫০০ টাকা। এই উইল টাটার সরলতা ও মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
কর্মচারীদের প্রতি উদারতা
টাটা তাঁর কর্মীদের জন্য বিপুল সম্পদ রেখে গেছেন। রাঁধুনি রঞ্জন শ পেয়েছেন ১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫১ লাখ টাকার ঋণ মওকুফ। বাটলার সুব্বাইয়া কোনার পেয়েছেন ৬৬ লাখ টাকা, এর মধ্যে ৩৬ লাখ ঋণ মকুব। সেক্রেটারি ডেলনাজ গিল্ডারের জন্য রাখা হয়েছে ১০ লাখ। দীর্ঘদিনের কর্মীদের দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ, আর খণ্ডকালীনদের ১ লাখ টাকা। এক সূত্র জানায়, “টাটা তাঁর আনুগত্যের প্রতিদান দিয়েছেন।”
টিটোর জন্য ১২ লাখ
টাটার প্রিয় কুকুর টিটোর যত্নে কোনও কমতি রাখেননি তিনি। ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যাতে টিটোর জীবন আরামে কাটে। এটি তাঁর প্রাণীপ্রেমের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।
পরিবার ও বন্ধুদের ভাগ
পরিবারকেও ভোলেননি টাটা। ভাই জিমি টাটা পেয়েছেন মুম্বাইয়ের জুহুতে ১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি। সৎ বোনদের দেওয়া হয়েছে মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ। ব্যাংকের ৩৮৫ কোটি টাকাও পরিবারের মধ্যে ভাগ হয়েছে। বন্ধু মেহলি মিস্ত্রি পেয়েছেন আলিবাগে ৬.২ কোটির সম্পত্তি ও কিছু বন্দুক।
শিক্ষা ও প্রতিবেশী
তরুণ সহকারী শান্তনু নাইডুর কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ-র জন্য নেওয়া ১ কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করেছেন টাটা। প্রতিবেশী জ্যাক মালেটের ২৩.৭ লাখ টাকার ঋণও মকুব। এটি তাঁর শিক্ষা ও সম্প্রদায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখায়।
ট্রাস্টের জন্য বড় অংশ
টাটা গ্রুপে তাঁর ৭০% শেয়ার রতন টাটা এন্ডোমেন্ট ফাউন্ডেশন (RTEF) এবং ৩০% রতন টাটা এন্ডোমেন্ট ট্রাস্ট (RTET)-এর জন্য রেখেছেন। এটি তাঁর সমাজসেবার প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ।
শেষকৃত্যে সরলতা
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য—টাটা নিজের শেষকৃত্যের জন্য রেখেছেন মাত্র ২৫০০ টাকা। একটি সূত্র বলে, “এটি তাঁর জীবনের দর্শন—বস্তুগত সম্পদের চেয়ে মানুষের মঙ্গলই বড়।”