নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি জয়ের স্বাদ পেয়েছে, যা তাদের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০-এর সুবিধা নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ২৯২ রানের জবরদস্ত টোটাল সেট করেছিল, যেখানে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মিচেল হে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুর্দান্ত কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ইনিংস খেলেছেন—অপরাজিত ৯৯ রান। তিনি মাত্র এক রানের জন্য তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি মিস করেছেন, যা ক্রিকেট ফ্যানদের মধ্যে বিতর্ক ও সহানুভূতি সৃষ্টি করেছে।

ম্যাচের হাইলাইট: নিউজিল্যান্ডের প্রভাবশালী পারফরম্যান্স

সেডন পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে, নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৯২ রান তৈরি করে। মিচেল হে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৮ বলে সাতটি চার এবং সাতটি ছক্কার মাধ্যমে ৯৯ রান করেন। তিনি মোহাম্মদ আব্বাসের সাথে ৮০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন এবং শেষ ওভারে ২২ রান যোগ করেন, যা তাদের ইনিংসকে শক্তিশালী করে। তবে, সেঞ্চুরির জন্য এক রানের অভাব তাকে ‘দুর্ভাগ্যবান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পাকিস্তানের জন্য লক্ষ্য পূরণ করা ছিল দুরূহ, এবং তারা ২০৮ রানে অল আউট হয়ে যায়, যা ৮৪ রানের হারে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে। বিন সিয়ার্সের পাঁচ উইকেট হাতিয়ার নিউজিল্যান্ডের জয়ের মূল কারণ ছিল।

মিচেল হের ভূমিকা: একটি নিকটবর্তী সেঞ্চুরি

মিচেল হে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৯৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি বিশ্বের তৃতীয় উইকেটরক্ষক যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন এবং এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এটি করা প্রথম ব্যক্তি। তিনি বলেন, “শুরুতে বেশ কঠিন ছিল। প্রথম ২০-৩০ বলে আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। স্পিনের বিরুদ্ধে শুরু করা সহজ ছিল না, কিন্তু আমাদের কথোপকথন ভালো ছিল। মোহাম্মদ আব্বাস তার লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ছিলেন। দলের জন্য কিছু রান করা ভালো ছিল।”

তিনি শেষ ওভারে ২২ রান যোগ করে দলের স্কোর ৩০০ এর কাছাকাছি নিয়ে যান, যা নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে, সেঞ্চুরির জন্য এক রানের অভাব তাকে ফ্যানদের মধ্যে সহানুভূতি ও সমালোচনার মুখোমুখি করেছে।

পাকিস্তানের ব্যর্থতা: বোলিং ও ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা

পাকিস্তানের জন্য ম্যাচে বোলিং ও ব্যাটিং দুটোই দুর্বল ছিল। তাদের বোলাররা প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের মাঝারি ওভারে কোনো দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স দিতে ব্যর্থ হন, যা মিচেল হে ও তার সঙ্গীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। ব্যাটিংয়ে, তাদের শীর্ষ ক্রমের ব্যাটসম্যানরা নিউজিল্যান্ডের দ্রুত বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন, যা তাদের ২০৮ রানে সীমাবদ্ধ করে।

পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ম্যাচের পর বলেন, “আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে ভালো করিনি। সুইং ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছি। ফাহিম আশরাফ এবং নাসিম শাহ ভালো লড়াই করেছেন, কিন্তু শর্তগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা নিয়মিতভাবে কঠিন লেংথে বোলিং করেছে, যা আমরা করতে পারিনি।”