“সোনার দামে ধস: ২৪ ক্যারেট এখন ৯০,২০০ টাকা!”

জাতীয় রাজধানীতে সোনার দামে বড় ধাক্কা। বুধবার ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১,০৫০ টাকা কমে ৯০,২০০ টাকায় নেমেছে, যা মঙ্গলবার ছিল ৯১,২৫০ টাকা। স্থানীয় চাহিদা কমার জেরে এই পতন ঘটলেও, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম উল্টো চড়ছে। বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা ও মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি কী বোঝায়?
দিল্লিতে পতন, বিশ্বে ঊর্ধ্বগতি
দিল্লির সর্রাফা বাজারে ৯৯.৫% বিশুদ্ধ সোনার দামও ১,০৫০ টাকা কমে ৮৯,৭৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে, রূপার দাম ৫০০ টাকা বেড়ে ৯৩,২০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিপরীতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট সোনার দাম ২.০৮% বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,০৪৪.১৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। “মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়া ও বৈশ্বিক অস্থিরতা সোনাকে সমর্থন দিচ্ছে,” বলেন কমোডিটি বিশ্লেষক রাহুল মেহতা। এশিয়ান বাজারে স্পট সিলভারও ২% বেড়ে ৩০.৪১ ডলারে পৌঁছেছে।
মার্কিন-চীন সংঘাতের ছায়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে ১০৪% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা আজ থেকে কার্যকর। জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪% শুল্ক বসিয়েছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। “ডলারের দাম টানা দ্বিতীয় দিন কমছে, ফলে সোনা নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠছে,” জানান বাজার বিশেষজ্ঞ সোনিয়া গুপ্তা। ফলে, ভারতে দাম কমলেও বিশ্ববাজারে সোনার আকর্ষণ বাড়ছে।
ফেডের সিদ্ধান্তে ঝুলে ভবিষ্যৎ
বাজার এখন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (FOMC) আসন্ন বৈঠকের দিকে তাকিয়ে। “সুদের হার কমলে সোনার দাম আরও বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতির তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন গুপ্তা। ফেড যদি হার অপরিবর্তিত রাখে, তবে সোনার উত্থানে বাধা পড়তে পারে। ভারতের আমদানি শুল্ক ও চাহিদার ওপরও দাম নির্ভর করছে।
স্থানীয় বাজারে সুযোগ?
দিল্লিতে দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে আশা জেগেছে। “বিয়ের মরসুমের আগে এটি সোনা কেনার সুযোগ,” বলেন জুয়েলারি ব্যবসায়ী রমেশ শর্মা। তবে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ ভিন্ন। “বৈশ্বিক উত্তেজনা সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ করছে। FOMC-র ফলাফল দেখে সিদ্ধান্ত নিন,” জানান মেহতা। রূপার দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা সেদিকেও ঝুঁকছেন।