“শাশুড়ির সঙ্গে জামাই পালালেন: কনে বলল, ‘শুধু আমার টাকা ফেরত চাই’”

“শাশুড়ির সঙ্গে জামাই পালালেন: কনে বলল, ‘শুধু আমার টাকা ফেরত চাই’”

উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে এক অদ্ভুত প্রেমের গল্প সামনে এসেছে। হবু জামাই রাহুল তার হবু শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন, সঙ্গে নিয়ে গেছেন বিয়ের জন্য রাখা ৮.৫ লাখ টাকার গয়না ও নগদ। ছবিতে দুজনকে একসঙ্গে দেখে কনে শিবানী ও তার বাবা জিতেন্দ্র হতবাক। শিবানী বলেন, “মা বেঁচে থাকুক বা মরুক, আমার কিছু যায় আসে না। শুধু আমার টাকা আর গয়না ফেরত চাই।” এই ঘটনায় গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

প্রেমের শুরু স্মার্টফোনে

ঘটনাটি মাদ্রাক থানার মনোহরপুর গ্রামের। জিতেন্দ্র কুমার, যিনি বেঙ্গালুরুতে কাজ করেন, তাঁর মেয়ে শিবানীর বিয়ে ঠিক করেছিলেন রাহুলের সঙ্গে। বিয়ের তারিখ ছিল ১৬ এপ্রিল। বিয়ের জন্য ৫ লাখ টাকার গয়না ও ৩.৫ লাখ নগদ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয় অদ্ভুত প্রেম। শিবানীর মা রাহুলকে একটি স্মার্টফোন উপহার দিয়েছিলেন। এই ফোনই তাদের সম্পর্কের সেতু হয়ে ওঠে। “রাহুল আমার সঙ্গে কম, মায়ের সঙ্গে বেশি কথা বলত। আমরা বুঝিনি,” বলেন শিবানী। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলে দুজনের মধ্যে প্রেম গড়ে ওঠে।

পলায়নের ৯ দিন আগে

বিয়ের ৯ দিন বাকি থাকতে রবিবার শিবানীর মা অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর তিনি ফিরে আসেননি। একই সময়ে রাহুলও নিখোঁজ হন। পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করলে জানা যায়, তারা একসঙ্গে পালিয়েছেন। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, তারা বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকার গয়না ও ৩.৫ লাখ নগদ নিয়ে গেছেন। “ঘরে ১০ টাকাও রাখেনি মা। সব নিয়ে পালিয়েছে,” ক্ষোভে বলেন শিবানী। সম্প্রতি তাদের একটি ছবি সামনে এলে পরিবারের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।

পরিবারের প্রতিক্রিয়া

ছবি দেখে জিতেন্দ্র রাগে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, “স্ত্রী যা করেছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ। কিন্তু আমার মেয়ের বিয়ের টাকা আর গয়না ফেরত দিক।” শিবানীও একই সুরে বলেন, “মায়ের জন্য কিছু যায় আসে না। আমি শুধু আমারটা চাই।” জিতেন্দ্র মাদ্রাক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দুজনের খোঁজ চলছে।

সমাজে আলোড়ন

মনোহরপুর গ্রামে এই ঘটনা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। “শাশুড়ি-জামাইয়ের সম্পর্ক এমন হতে পারে, ভাবতেই অবাক লাগে,” বলেন গ্রামের বাসিন্দা রমেশ সিং। স্থানীয়রা জানান, শিবানীর মা ও রাহুলের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক মাস ধরে গড়ে উঠলেও কেউ টের পায়নি। “বিয়ের আগে এমন ঘটনা এখানে আগে কখনও ঘটেনি,” যোগ করেন তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *